ঢাকা, ০৭ মে- সুবীর নন্দীর বাবা সুধাংশু ভূষণ নন্দী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর পোস্টিং ছিল মিয়ানমারে। ১৯৪৭ সালে ক্যাপ্টেন হিসেবে রিটায়ার্ড করে দেশে ফিরে আসেন। মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন চা বাগানে। তিনিও গান খুব ভালোবাসতেন। তার সংগ্রহে তিন শতাধিক গানের রেকর্ড ছিল। ১৯৬৬ সালের প্রথম দিকে চা বাগানের বাংলো ছেড়ে হবিগঞ্জে নিজেদের বাড়িতে চলে আসেন। এর আগে চা বাগানের কাছেই শাহজাহানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন সুবীর। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হবিগঞ্জ শহরটা খুব রাজনীতি সচেতন ছিল। সুবীরদের ১৬ জনের একটি দল ছিল উদয়ন শিল্পীগোষ্ঠী। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মিটিংয়ের আগে গান করতেন। এভাবে ১১ দফা, তারপর এক দফার সঙ্গে সুবীরদের সম্পৃক্ততা ছিল। তারপর মুক্তিযুদ্ধের সময় টিকতে না পেরে, দোসরা বৈশাখ (এপ্রিলে) আগরতলা হয়ে আসামের ডিবরুগড়ে চলে গেলেন। সুবীরের বড়দা তখন ওখানে ব্যাংকে চাকরি করতেন। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে, আসামের করিমগঞ্জ শহরে কাকুর বাসায় গিয়েছিলেন সুবীর নন্দীরা। ওখানে থাকাকালেই বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার খবরটা শোনামাত্র তার বাবা মারা গেলেন! ডাক্তার জানালেন, সম্ভবত অতি উচ্ছ্বাসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আর/০৮:১৪/০৬ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2H8fqiF
May 07, 2019 at 07:10PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন