টানা ১৯ বছর পর আবার চলচ্চিত্রের গানে ফিরলেন কিংবদন্তি লোকশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই ছবিটির নাম পায়রার চিঠি। নির্মাণ করছেন নিশীথ সূর্য। রথীন্দ্রনাথের গাওয়া যাপিত জীবন আনন্দ লগন শিরোনামের এ গানটির কথা ও সুর করেছেন পরিচালক সূর্য নিজেই। আর সংগীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ২০০০ সালে সর্বশেষ হৃদয়ের বন্ধন নামের একটি সিনেমায় প্লেব্যাক করেছি। গানটির সুর করেছিলেন আলাউদ্দিন আলী। দীর্ঘদিন পর আবার সিনেমার জন্য গাইতে পেরে ভালো লাগছে। কারণ, কীর্তন আঙ্গিকের এই গানটি আমাকে ভেবেই নাকি সুর করেছেন নিশীথ সূর্য। দীর্ঘদিন পর ভালো কথা ও সুরের একটি গান করতে পেরে আনন্দিত। রথীন্দ্রনাথ রায় চলচ্চিত্রে বহু কালজয়ী গান করেছেন। এরমধ্যে অন্ধবধূ সিনেমার ও যার অন্তরে বাহিরে কোন তফাত নাই, নাগরদোলাতে তুমি আরেকবার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া, ফকির মজনুশাহ চলচ্চিত্রে সবাই বলে বয়স বাড়ে এবং নালিশ চলচ্চিত্রের খোদার ঘরে নালিশ করতে দিলো না আমারে গানগুলো এখনও দাগ কেটে যায় শ্রোতা-মনে। ১৯৯৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন লোকগানের নন্দিত এই শিল্পী। লোকসংগীতের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গান গেয়েও খ্যাতি পান রথীন্দ্রনাথ। ১৯৬৬ সালে সাত ভাই চম্পা ছবির মাধ্যমে তিনি প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কাটিয়েছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। কণ্ঠে তুলেছেন তীর হারা ওই ঢেউয়ের সাগর, ছোটদের-বড়দের-সকলের...আমার দেশ সব মানুষের মতো উজ্জীবনী গান। তার গাওয়া জনপ্রিয় আরও গানের মধ্যে রয়েছে কথায় বলে, গাছে বেল পাকিলে তাতে কাকের কী, ও কি ও কাজল ভ্রমরা রে, বাওকুমটা বাতাস যেমন ঘুরিয়া ঘুরিয়া মরে প্রভৃতি। দীর্ঘদিন রথীন্দ্রনাথ রায় স্থায়ীভাবে বাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। চার মাস আগে দেশে এসেছেন। জানালেন, সামনের সপ্তাহে ঢাকা থেকে ফের উড়াল দেবেন নিজ ঘরে। আর এস/ ১৭ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2w2JFRx
May 17, 2019 at 07:41AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন