কলকাতা, ২৪ মে- বাংলায় যত আসন তার অর্ধেক সংখ্যার সাংসদই নতুন। ৪২ টি কেন্দ্র থেকে এবার ২১ জন নতুন প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে নির্বাচকমণ্ডলী। বিজেপির ১৬ জন সাংসদ প্রথমবার সংসদে পা দিচ্ছেন। সংখ্যায় কম হলেও তৃণমূলের ৭ নয়া প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন ভোটাররা। তারকা পতন যেমন হয়েছে তেমনি বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটি ও প্রথমবার নয়া দিল্লির সংসদ মার্গে পা রাখবেন। পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়, সমতল এবং জঙ্গলমহল থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ে যাঁরা প্রথমবার সংসদে যাচ্ছেন তাঁরা হলেন, জন বারলা, সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুর, অর্জুন সিং, নিশীথ প্রামাণিক, রাজু বিস্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জয়ন্ত রায়, কুনার হেমব্রম, খগেন মুর্মু, দিলীপ ঘোষ, জোতির্ময় সিং মাহাতো, দেবশ্রী চৌধুরি ও জগন্নাথ সরকার। প্রত্যাশিতভাবে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন এবং তৃণমূলের অপশাসনের ফলেই ভারতীয় জনতা পার্টির এই জয়। জয়ী হওয়ার পর সবাই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিজের নিজের কেন্দ্রে এদিন সবাইকে গেরুয়া আবির ও মিষ্টিমুখ করতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির নিশীথ আগে তৃণমূলে ছিলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি তৃণমূলে থেকেও নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে নিজের শক্তি প্রমাণ করেছিলেন। পরে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি বিজেপির সঙ্গ ধরেন। মুকুলের হাত ধরেই বিজেপিতে আসেন কোচবিহারের প্রার্থী। জয়ের পর স্বাভাবকিভাবেই রাজনৈতিক গুরু মুকুল ও নরেন্দ্র মোদিকে সাফল্যের হক দিয়েছেন নিশীথ। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী জন বারলা যে জিতবেন তা একপ্রকার প্রত্যাশিতই ছিল। চা বাগানের এই শ্রমিকনেতা আদিবাসী মানুষের পাশে নিবিড়ভাবে ছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, দার্জিলিংয়ে রাজু বিস্তের জয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংয়ের কৃতিত্বকে খাটো করা যায় না। এই নিয়ে পাহাড়ে পরপর তিনবার জয় পেল বিজেপি। রায়গঞ্জ থেকে দেবশ্রীর জয়ের পিছনে দাড়িভিটে আন্দোলনরত দুই ছাত্রর মৃত্যুর ইস্যুই যে কাজ করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জঙ্গলমহলের কেন্দ্র ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় বিজেপির জয়ের পিছনে তৃণমূলের প্রতি গরিব মানুষের প্রবল ক্ষোভ কাজ করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। হুগলিতে লকেট প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন। মালদহ উত্তরে আদিবাসী ভোটারদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় খগেন। তিনি যে জিততে পারেন, তা অনেকেই অনুমান করেছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর লোকসভার খড়গপুরের বিধায়ক। এই এলাকায় পঞ্চায়েতে ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ ছিল। তা হাতিয়ার করে জয় পেয়েছেন দিলীপ। এন এ/ ২৪ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Wmlcpc
May 24, 2019 at 09:00AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন