দুবাই, ৩০ মে- সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি নাইটক্লাব থেকে ৪ বাংলাদেশি কিশোরী ড্যান্সারকে উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২৮ মে) তাদের আদালতে তোলা হয়। ওই কিশোরীদের যৌনবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে দুবাই পুলিশ। গালফ নিউজ জানায়, আল মুরাকাব্বাত এলাকার একটি নাইটক্লাবে ড্যান্সার হিসেবে কাজ করতে ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী এসব কিশোরীকে গত বছর আমিরাতে আনা হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে দুবাই পুলিশ খবর পায় সেখানকার হোটেলে কিশোরীদের ড্যান্সার হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। পরে হোটেলের নাইটক্লাবে অভিযান চালিয়ে ১৯ নারী ও ৫ সন্দেহভাজন অপরাধীকে আটক করে পুলিশ। সন্দেহভাজন এসব অপরাধীর বয়স ২০ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার হওয়া সব নারী সেখানে ড্যান্সার ও যৌনবৃত্তিতে জড়িত ছিল। তাদের চার জন বাংলাদেশ থেকে আসা কিশোরী। উদ্ধারকৃতদের স্থানীয় একটি নারী ও শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন অপরাধীরা কিশোরীদের বয়স বেশি দেখিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে তাদের এ দেশে এনেছিল ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী বলেছে, পরিবারকে সাহায্য করতে সে দুবাই আসতে রাজি হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, এক লোক তার পাসপোর্ট তৈরি করার আর দুবাই আসার খরচ দেয়। ওই কিশোরীটি জানায়, আমি ড্যান্সার হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছি। কারণ, আমার পরিবার গরিব, আর তাদের টাকার দরকার। নাইটক্লাবটির ম্যানেজার যৌনবৃত্তিরচক্র চালাতো বলে নিশ্চিত করে সে জানায়, এই দেশে আসার চারদিনের মাথায় তারা আমাদের নাইটক্লাবে নিয়ে আসে। আর জানিয়ে দেয় নাইটক্লাবে ড্যান্সার হিসেবে আমাদের কাজ করতে হবে। এছাড়া প্রতিমাসে তিন ক্রেতার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। গালফ নিউজের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বিভিন্ন সময়ে এসব নারীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আনা হয়। আটক পাঁচ সন্দেহভাজন অপরাধীর বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এন এ/ ৩০ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2MfDu7G
May 30, 2019 at 04:18PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন