কলকাতা, ০৩ মে- প্রচণ্ড হাওয়া, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। একটার পর একটা গাছ উপড়ে পড়ে যাচ্ছে। উড়ে যাচ্ছে ঘরের চাল। ফণীর তাণ্ডবে রীতিমতো লন্ডভন্ড ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ওড়িশা। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ে ফণী। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, ওড়িশার পুরী, কটক, ভুবনেশ্বর, বালাসোর, চাঁদিপুর, গোপালপুরের মতো এলাকা একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। ফণীর ধ্বংসলীলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ফণীর তাণ্ডব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওড়িশার ৪টি জেলা। অধিকাংশ এলাকায় সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট জনশূন্য। পুরীতে ফণী আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা, মন্দারমণি-সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় তুমুল ঝড়বৃষ্টি। শঙ্করপুরে ভেঙে পড়ে হাইটেনশন বিদ্যুতের খুঁটি। কলকাতা বিমানবন্দর শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। থাকছে। এর আগে বলা হয়েছিল আজ রাত সাড়ে ৯টা থেকে আগামী কাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ভুবনেশ্বরেও বন্ধ রয়েছে বিমান চলাচল। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করার পর পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করার পর পশ্চিমবঙ্গের উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ফণী। ভারতীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে থাকবে ফণী। সন্ধ্যার দিকে বাতাসের গতিবেগ নেমে আসতে পারে ঘণ্টায় ১১৮ কিলোমিটারের নিচে। সূত্র: জাগো নিউজ২৪ আর এস/ ০৩ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2JdlUxY
May 03, 2019 at 10:44PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top