আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ‘ভরা যৌবনে’ এক কালবৈশাখীর ধাক্কায় ঝরে পড়েছে বিপুল পরিমাণ আম। ক’দিন বাদেই বাজারে নামবে পাকা আম। বাগান থেকে আম পাড়ার এমনমুর্হুতে ঝড়ের আঘাতে বাগানের পর বাগানজুড়ে ঝরে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আম ব্যবসায়ীরা। ঝড়ে বিপুল পরিমাণ আম ঝরে পড়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে অনেক আমগাছও। আর ঝরে পড়া আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে বিক্রি হচ্ছে পানির দরে।
সোমবার সন্ধ্যার পরপরই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ ও নাচোল উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় তেমন ঝড় হয়নি। বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে তিন উপজেলার অনেক বড় বড় আম গাছ ভেঙ্গে পড়ে এবং উপড়ে যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্রর সামনে, হর্টিকালচার সেন্টারে ও সদর উপজেলার চাঁপাই পলশা এলাকা এবং শিবগঞ্জের রানীহাটি ছত্রাজিতৎপুর, মনাকষা এলাকায় বড় বড় বেশ কিছু আম গাছ ভেঙে পড়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুরের আম ব্যাবসায়ী ইব্রাহিম বলেন, ‘ এই মৌসুমে এটিই প্রথম বড় ধরণের ঝড়। গাছে গাছে আম পাকতে শুরু করেছে। এমন সময়ের ঝড়ে বাগানের প্রচুর আম পড়েছে। এখন বাগানে যে পরিমাণ আম আছে তা আবার কোন দুর্যোগের মুখে পড়ে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আম ব্যবসায়ী সাদরুল খান বলেন, ‘ প্রতিটি বাগানেই গাছের আকার ভেদে কমপক্ষে প্রতিটি গাছ থেকে ৫/৬ মন করে আম ঝরে পড়েছে। গেল দশ দিন থেকে প্রচন্ড খরার কারণে আমের ডগার গোড় শুকিয়ে থাকায় ঝরে পড়ার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। আগের ক’দিন বৃষ্টি হলে ঝড়ে এতো বেশি আম ঝরে পড়তো না’।
হটাৎ ঝড়ে ব্যাপক পরিমাণ আম ঝরে পড়ায় আম ব্যবসায়ীরা এবারের মৌসুমে ভাল লাভ নিয়ে শংকায় পড়েছেন। তবে, কৃষি বিভাগ ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি মনে করছেননা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ইয়াসিন আলী বলেন, ‘সোমবার রাতে মূলত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ ও নাচোল উপজেলায় ঝড় আঘাত হাতে। এতে কিছু আম ঝরে পড়েছে। তিন উপজেলার আমের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ উদ্যোতত্ব গবেষনা কেন্দ্রের সিনিয়র ফল গবেষক ড. জমির উদ্দীন বলেন, ‘প্রকৃতির নিয়মেই কিছু আম ঝরে পড়ে নানাভাবে, গতকালের (সোমবার রাতে) ঝড়ে আম ঝরে পড়লেও, গাছ গুলোতে যে পরিমান আম অবশিষ্ট আছে সেগুলো পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত টিকে থাকলে আমের ফলনে কোন প্রভাব পড়বে না’।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিভিন্নি বাজারে পানিদরে বিক্রি হচ্ছে ঝরে পড়া আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ঘাটসহ অন্যান্য বাজারে ৫ থেকে ৭টাকা কেজি দরেঝরে পড়া আম বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, ফণির প্রভাবে বৃষ্টির পর টানা খরা ও তাপদাহের মাঝে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিও হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ মিলিমিটার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৪-০৫-১৯
সোমবার সন্ধ্যার পরপরই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ ও নাচোল উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় তেমন ঝড় হয়নি। বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে তিন উপজেলার অনেক বড় বড় আম গাছ ভেঙ্গে পড়ে এবং উপড়ে যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্রর সামনে, হর্টিকালচার সেন্টারে ও সদর উপজেলার চাঁপাই পলশা এলাকা এবং শিবগঞ্জের রানীহাটি ছত্রাজিতৎপুর, মনাকষা এলাকায় বড় বড় বেশ কিছু আম গাছ ভেঙে পড়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুরের আম ব্যাবসায়ী ইব্রাহিম বলেন, ‘ এই মৌসুমে এটিই প্রথম বড় ধরণের ঝড়। গাছে গাছে আম পাকতে শুরু করেছে। এমন সময়ের ঝড়ে বাগানের প্রচুর আম পড়েছে। এখন বাগানে যে পরিমাণ আম আছে তা আবার কোন দুর্যোগের মুখে পড়ে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আম ব্যবসায়ী সাদরুল খান বলেন, ‘ প্রতিটি বাগানেই গাছের আকার ভেদে কমপক্ষে প্রতিটি গাছ থেকে ৫/৬ মন করে আম ঝরে পড়েছে। গেল দশ দিন থেকে প্রচন্ড খরার কারণে আমের ডগার গোড় শুকিয়ে থাকায় ঝরে পড়ার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। আগের ক’দিন বৃষ্টি হলে ঝড়ে এতো বেশি আম ঝরে পড়তো না’।
হটাৎ ঝড়ে ব্যাপক পরিমাণ আম ঝরে পড়ায় আম ব্যবসায়ীরা এবারের মৌসুমে ভাল লাভ নিয়ে শংকায় পড়েছেন। তবে, কৃষি বিভাগ ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি মনে করছেননা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ইয়াসিন আলী বলেন, ‘সোমবার রাতে মূলত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ ও নাচোল উপজেলায় ঝড় আঘাত হাতে। এতে কিছু আম ঝরে পড়েছে। তিন উপজেলার আমের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ উদ্যোতত্ব গবেষনা কেন্দ্রের সিনিয়র ফল গবেষক ড. জমির উদ্দীন বলেন, ‘প্রকৃতির নিয়মেই কিছু আম ঝরে পড়ে নানাভাবে, গতকালের (সোমবার রাতে) ঝড়ে আম ঝরে পড়লেও, গাছ গুলোতে যে পরিমান আম অবশিষ্ট আছে সেগুলো পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত টিকে থাকলে আমের ফলনে কোন প্রভাব পড়বে না’।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিভিন্নি বাজারে পানিদরে বিক্রি হচ্ছে ঝরে পড়া আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ঘাটসহ অন্যান্য বাজারে ৫ থেকে ৭টাকা কেজি দরেঝরে পড়া আম বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, ফণির প্রভাবে বৃষ্টির পর টানা খরা ও তাপদাহের মাঝে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিও হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ মিলিমিটার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৪-০৫-১৯
from Chapainawabganjnews http://bit.ly/2YAo5An
May 14, 2019 at 10:07PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন