কলকাতা, ১২ মে- ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হতেই অশান্ত কেশপুর। রবিবার সাতসকাল থেকেই খবরের শিরোনামে আসেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। আজ তিনি ঘাটালের যেখানেই পা রেখেছেন, সেখানেই বাধা-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকি, এই প্রাক্তন দুঁদে আইপিএস আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। ইটের ঘায়ে মাথা ফেটেছে ভারতীর রক্ষীর। এরপর ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন ভারতী ঘোষ। কোথাও কোথাও বিক্ষোভের মাত্রা এতটাই বেশি যে বুথেই ঢুকতে পারেননি ভারতী। সব মিলিয়ে এদিন রণক্ষেত্রে ঘাটাল। আর ঘাটালের এই অশান্তির জন্য নাম না করে তাঁর একসময়ের জঙ্গলমহলের মা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুললেন ভারতী ঘোষ। কেশপুরে অশান্তি প্রসঙ্গে ভারতী ঘোষ বলেন, লজ্জা হওয়া উচিত ওই মহিলার। এভাবে ভোট লুঠ করা হচ্ছে! সন্ত্রাস করছে, মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। সারা বাংলা ছি: ছি: করবে। এদিন কেশপুরের দোগাছিয়ায় ছাপ্পা ভোট করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ভারতী। এরপর ভারতী সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর। এছাড়া ভারতীর গাড়িতে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংবাদমাধ্যমও রেহাই পায়নি। সংবাদমাধ্যমের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এরপরই ক্ষুব্ধ ভারতী জানান, দলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। উল্লেখ্য, রবিবার ভোটের শুরুতেই হেনস্থার শিকার হন ভারতী ঘোষ। কেশপুরের একটি বুথে ভারতী ঘোষ ও তাঁর এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি বেঁধে যায়। ভারতীকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের মহিলা সমর্থকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভারতীর পায়ে চোট লাগে এবং মাটিতে পড়ে গিয়ে কেঁদে ফেলেন একদা দুঁদে আইপিএস ভারতী। এদিকে, কেশপুরের ১৩৯নং বুথে ঢুকে ভিডিওগ্রাফি করার অভিযোগও উঠেছে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে ভারতী বলেন, সারাদিনের মধ্যে ওটাই দেখতে পেয়েছেন। ১৩৯নং বুথে ১০-১৫ জন মহিলা জ্যাম করেছে। কোনও ক্যামেরা নেইনির্বাচনী আধিকারিক তো বলেছেন প্রমাণ দিতে, যখন আমি ভিডিও করলাম, তখন আমাকে বলা হচ্ছে। গোটা কেশপুর জ্বলছে। এদিকে, এ ঘটনায় মুখ খুলেছেন ভারতীর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। তিনি বলেন, ওঁর সঙ্গে যেটা হয়েছে, তাতে দুঃখপ্রকাশ করছি। শান্তিপূর্ণ ভোট হোক এটাই চাইব। তবে উনিই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছেন। উনি তো পুলিশ সুপার ছিলেন, সব নিয়মকানুন জানেন। এখন উনি নিজেই আইন ভাঙছেন। এন এ/১২ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2vRU42r
May 13, 2019 at 12:14AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top