১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর ক্রিকেট বিশ্ব বাংলাদেশ নামে নতুন এক পরাশক্তির আগমনী বার্তা পায়। ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয় লাল-সবুজের দলটি। এরপর সময়ের বিবর্তনের বিভিন্ন কঠিন সময় পার করে বর্তমানে ক্রিকেট দুনিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী দল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ আসরে অংশ নিচ্ছে টাইগাররা। বিগত পাঁচটি বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশ মোট ৩৩টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে ১১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। এই জয় গুলো থেকেই বাংলাদেশের সেরা তিনটি জয় তুলে ধরা হলো। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আইসিসি ট্রফি জয়ের পর প্রথমবারের মতো ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। নবাগত দল হিসেবে তাই বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশাটা খুব বেশি ছিল না। কিন্তু প্রথম আসরেই বিশ্বকে চমকে দেয় নবাগত দলটি। বিশ্বকাপের অন্যতম শক্তিশালী দল পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল। ১৯৯৯ সালের ৩১ মে নর্দাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ড মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান যোগ করেন শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেন। শাহরিয়ার ৩৯ ও মেহরাব ৯ রান করে আউট হন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় লাল সবুজের দলটি। আকরাম খান ৪২, খালেদ মাহমুদ ২৭ ও খালেদ মাসুদ অপরাজিত ১৫ রান করলে ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২৩ রান। ২২৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানকে চাপে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। ৪২ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানকে আউট করে পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল তারা। শহীদ আফ্রিদি, ইনজামাম-উল-হক ও সেলিম মালিকের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন খালেদ মাহমুদ। এরপর আর পাকিস্তানকে ঘুড়ে দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ৪৪ ওভার ৩ বলে ১৬১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। আর নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই ৬২ রানের এক ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় নবাগত বাংলাদেশ। খালেদ মাহমুদ ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয় প্রথম বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম স্মরনীয় জয় পায় ২০০৭ আসরে ভারতের বিপক্ষে। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৭ মার্চ ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কুইন্স পার্ক ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পরে ভারত ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল। পরে সেই চাপ আর সামলাতে পারেনি রাহুল দ্রাবিড়ের দল। মাত্র ১৯০ রানে অলআউট হয় ভারত। মাশরাফি বিন মর্তুজা ৪ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিক ৩টি করে উইকেট নেন। ১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করতে থেকে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ৫১ রান করে আউট হন। এরপর সাকিব আল হাসান ৫৩ ও মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৫৬ রান করলে ৫ উইকেটের এক স্মরণীয় জয় তুলে নেয় হাবিবুল বাসারের দল। মূলত এই জয় দিয়েই ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে টপকে বাংলাদেশ সুপার এইটে জায়গা করে নেয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় বিশ্বকাপ ইতিহাসে বাংলাদেশ তাদের সবচেয়ে স্মরণীয় জয় পেয়েছে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের কোয়ার্টার ফাইলাল খেলে টাইগাররা। ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারায় মাশরাফির দল। ৯ মার্চ অ্যাডিলেট ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই তামিম ও ইমরুলের উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর মাহমুদউল্লাহর দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ১০৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া মুশফিক ৮৯ রানের ইনিংস খেললে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান করে বাংলাদেশ। ২৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে পেরে ওঠেনি ইংল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ইংলিশদের ১২ রানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় টাইগাররা। রুবেল ৪টি এবং মাশরাফি ও তাসকিন ২টি করে উইকেট নেন। এমএ/ ০৫:৩৩/ ২৭ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/30Oj48U
May 27, 2019 at 01:51PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top