লন্ডন, ০২ জুন- সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করার জন্যই মূলতঃ বিশ্বকাপের দলে নেয়া হয়েছে সাব্বির রহমানকে। শেষ মুহূর্তে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে বিশ্বকাপের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ব্যাকআপ হিসেবে। কিন্তু সেই সৈকতের ব্যাটেই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। অসাধারণ এক ফিনিশারের ভূমিকায় অবর্তীণ হন তিনি সেদিন। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই দলের সাত নম্বর পজিশন নিয়ে তুমুল আলোচনা, কথা-বার্তা। বাংলাদেশ দলে আজ সাত নম্বর পজিশনে খেলবেন সাব্বির নাকি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত? শনিবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনের শুরু থেকেই ওভালে হওয়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আর স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কথাই উঠলো বারবার। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির প্রেস মিটের আগে দক্ষিণ আফ্রিকান লেগ স্পিনার ইমরান তাহির যখন কথা বলছিলেন, তখন ঘুরে-ফিরে ওভালের খানিক স্পিন বান্ধব উইকেট- প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটলো। মাশরাফি এবং ইমরান তাহির দুজনের কথাতেই একটা সত্য বেরিয়ে এলো, যদি উইকেটের আচরণে বড় ধরনের পরিবর্তন না আসে, উইকেটে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সাহায্য থাকতে পারে। ইমরান তাহিরসহ দক্ষিণ আফ্রিকা দুজন স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়ে মাঠে নামবে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে। এমনটা জানিয়ে গেলেন প্রোটিয়া লেগি তাহির নিজেই। সে কারণেই বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, উইকেট যদি খানিক স্পিন বান্ধব হয়, তাহলে কি করবেন? সাকিব মিরাজের সাথে মাহমদুউল্লাহ রিয়াদও কি বল করতে পারবেন? মাশরাফি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, গত সাত দিনে রিয়াদ একদিন মাত্র নেটে কয়েক ওভার বল করেছে এবং বোলিংয়ের পরপরই ব্যথা অনুভব করেছে। তাই তার বল করার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। ৯ ম্যাচ, দীর্ঘ একটা সময়। আমরা চাই না রিয়াদের ব্যাটিংটা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। অধিনায়ক এমনটা চাইতেই পারেন। কারণ, ২০১৫ বিশ্বকাপে সেরা ব্যাটিং পারফরমার তো এই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই। টানা দুটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, দুবছর আগে যুক্তরাজ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের সাথে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি ছিল রিয়াদের। তাই রিয়াদ শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললে দলে একজন বাড়তি স্পিনারের প্রয়োজন; কিন্তু সাকিব-মিরাজছাড়া দলে তো আর কোনো স্পেশালিস্ট স্পিনার নেই। লিটন দাস ব্যাটসম্যান কাম উইকেটরক্ষক। মোহাম্মদ মিঠুনও তাই। বাকি থাকেন সাব্বির আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এর মধ্যে সাব্বির লেগ স্পিন করতে পারেন; কিন্তু কাল (শনিবার) জানা গেলো, গত কয়েকদিন নেটেও তার ব্যাটিংয়ের অবস্থা ভালো নয়। ওদিকে মোসাদ্দেক তিন জাতি ক্রিকেটে ফিনিশারের ভূমিকায় নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। পাশাপাশি অফ স্পিন বোলিংটাও করতে পারেন ময়মনসিংহের এই তরুণ। সে ক্ষেত্রে সাত নম্বরে সাব্বিরের পরিবর্তে আজ মোসাদ্দেককে একাদশে দেখার সম্ভাবনাই বেশি। আবার তিন পেসারের মধ্যে যখন মাশরাফি আর মোস্তাফিজ দলে নিশ্চিত, তখন তৃতীয় পেসার হিসেবে কাকে খেলানো হবে, তা নিয়েও রয়েছে খানিকটা জ্বল্পনা। তবে, রুবেল হোসেনের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, সাইফুদ্দিন হালকা ইনজুরিতে ভুগছেন। মাত্র দুদিন আগেই ইনজেকশন দেয়া হয়েছে তাকে। সুতরাং, এ পরিস্থিতিতে তাকে জোর করে খেলানো হবে না। আবার প্রস্তুতি ম্যাচে রুবেল ভালো বোলিং করেছে। সে হিসেবে প্রথম ম্যাচে একাদশ দাঁড়াচ্ছে এমন তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব-আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/০২ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2WHrxvq
June 02, 2019 at 10:52AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন