গত দুই মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। কিন্তু কোনোভাবেই শিরোপা ধরা দিচ্ছিল না তাদের হাতে। খুব কাছে গিয়েও বারবার ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। অবশেষে চলতি মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে খরা কাটালো ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। মাদ্রিদে হওয়া ফাইনাল ম্যাচে টটেনহাম হটস্পারকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে অলরেডরা। এ জয়ে গোল দুইটি করেছেন মোহামেদ সালাহ এবং ডিভক অরিগি। এর আগে সবশেষ ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ষষ্ঠবারের মতো এবার চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। লিভারপুলের চেয়ে বেশি শিরোপা রয়েছে শুধুমাত্র রিয়াল মাদ্রিদ (১৩) এবং এসি মিলানের (৭)। ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণে ওঠে অলরেডরা। ডি-বক্সের মধ্যে শট নেন সাদিও মানে, কিন্তু তা প্রতিহত হয় টটেনহামের ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার মৌসা সিসোকোর হাতে লেগে। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। গোলের মাত্র ১২ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করতে একদমই ভুল হয়নি লিভারপুলের তারকা খেলোয়াড় মোহামেদ সালাহর। রাবা মাজের, স্যামুয়েল ইতো, দিদিয়ের দ্রগবা এবং সাদিও মানের পর পঞ্চম আফ্রিকান ফুটবলার এবং প্রথম মিশরিয়ান ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গোল করেন সালাহ। এছাড়াও ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় করা গোলটি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। এ তালিকার এক নম্বর নামটি পাওলো মালদিনির। ২০০৫ সালের ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষেই মাত্র ৫০ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন এসি মিলানের এ ডিফেন্ডার। দ্বিতীয় মিনিটেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়া টটেনহাম বারবার চেষ্টা করেও পারেনি গোলের তালা ভাঙতে। দশম মিনিটে দলের সেরা তারকা হিউং মিন সং একার প্রচেষ্টায় অলরেড রক্ষণে হানা দেন কিন্তু শট নেয়ার আগেই প্রতিহত হয়ে যায় সে শট। উল্টো গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল লিভারপুল। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে দূরপাল্লার শট নেন স্কটিশ ডিফেন্ডার অ্যান্ড্রু রবার্টসন। কিন্তু একদম সোজা আসায় তা প্রতিহত করতে সমস্যা হয়নি টটেনহাম গোলরক্ষক হুগো লরিসের। ফলে এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। তবু তখনো আশা টিকেছিল মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যদের। কারণ চলতি আসরের কোনো ম্যাচেই প্রথমার্ধে লিড নিতে পারেনি তারা। ফাইনালের আগপর্যন্ত খেলা ১২ ম্যাচের মধ্যে ৬টিতে জয় পায় তারা, ড্র করে দুই ম্যাচ। সে আশায় দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামে হটস্পাররা। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে দুই দলের কেউ গোছানো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি। গোলের আশায় দুই কোচই একাধিক পরিবর্তন আনে একাদশে। কিন্তু কাজের কাজ গোল আর হয়নি খুব একটা। তবে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় লিভারপুল। সেটিও রবার্ট ফিরমিনোর বদলি হিসেবে নামা ডিভক অরিগির পা থেকে। জেমস মিলনারের কর্ণার থেকে বল জটলায় পড়ে যায়, সেখান থেকে খালি জায়গায় বল পেয়ে অলরেডদের আনন্দে ভাসান অরিগি। চলতি আসরের সেমিফাইনালে জোড়া গোল করা অরিগি, ফাইনাল ম্যাচে এসে করলেন আসরে নিজের তৃতীয় গোলটি। ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় বেলজিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে গোল করেছেন তিনি। এছাড়াও চলতি আসরে তার করা ৩টি শটের পরিণতিই ছিলো গোল। অরিগির গোলের পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় লিভারপুলের জয়। তবু অতিরিক্তি যোগ করা ৫ মিনিটে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় শেষ সময়কে ঘিরে। এতে অবশ্য কিছুই করতে পারেনি টটেনহাম। ২-০ গোলে ম্যাচ জিতেই শিরোপা উল্লাসে মাতে লিভারপুল। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/০২ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Wikl9O
June 02, 2019 at 06:33AM
02 Jun 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top