বিশ্বকাপ মানেই উম্মাদন। তারকারা জোট হয়ে খেলা দেখেন। এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বাসায় বসে কিংবা শুটিং স্পটে তারকারা খেলা দেখেছেন। জেনে নেওয়া যাক তাদের খেলা দেখার আয়োজন কেমন: জাহিদ হাসান: খেলা দেখা নিয়ে তো আমি রীতিমতো বিরক্ত। এটা কোন বিশ্বকাপ হলো। এটা তো জানা কথাই ইংল্যান্ডে জুন জুলাইয়ে বিশ্বকাপ হয়। এ সময় কেন আইসিসি খেলা দিয়েছে। এটা হলো ক্রিকেটের প্রতি যে দিনকে দিন তাদের আগ্রহ শুন্যেও কোঠায়। সেটারই প্রমান। যদি ক্রিকেট তাদের ভালো না লাগে তো আমাদের এদিকেই আয়োজন করার সুযোগ কেন দিচ্ছে না!আমি সময় পেলে খেলা দেখি। এই যেমন সেদিন চাচ্ছিলাম বাসায় বসে আরাম করে ছেলে মেয়েদের নিয়ে খেলা দেখবো। সেদিনই নামলো বৃষ্টি। এভাবে প্রতিটা ম্যাচেই বৃষ্টির আশংকা আসলে আমার খেলা দেখার আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দুইটা ম্যাচ দেখতে পেরেছি। প্রথমটা দেখেছি শুটিং স্পটে বসে। দ্বিতীয়টা বাসায় দেখেছি। তবে সামনে চিন্তাভাবনা আছে যে আমার কিছু কলিগ আছে যারা ক্রিকেট বোঝে ভালো। তাদের নিয়ে আয়োজন করে দেখবো। এখন পর্যন্ত আয়োজন করে দেখা হয়নি। ন্যানসি: খেলা দেখা হচ্ছে না। কারণ ঈদের পরদিন আমার শ্বশুর মারা গিয়েছেন। ৯ দিন আইসিউতে ছিলেন। তো তারপর আমাদের বাসায় আসলে খেলা দেখার মন মানষিকতা কারো নেই। তবে আমরা আয়োজন করেই খেলা দেখি। আমাদের বাড়িতে তো অনেক লোক। আর খেলা পছন্দ করে সব শ্রেনীর মানুষ। আমরাও সবাইকে নিয়ে খেলা দেখি। কিন্তু এ বছর ওই কারণে আসলে কিছুই হচ্ছে না। জায়েদ খান: বাংলাদেশ যদি সেমিফাইনালে যেতে পারে। আমার ইচ্ছে আছে এফডিসির সামনে শিল্পী সমিতির সামনে যে মাঠটা আছে সেখানে বড় আয়োজন করে খেলা দেখবো। যারা অমরা এফডিসিতে যাই, আমরা শিল্পী, সাংবাদিক, কলাকুশলী সবাই মিলে হৈ হুল্লোর করে খেলা দেখার ইচ্ছে আছে। ওখানে বড় করে প্রজেক্টর লাগিয়ে সবাইকে নিয়ে খেলা দেখবো। যেটা আমরা ফুটবল বিশ^কাপেও করেছি। এখন বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠলে বা ফাইনালের দিন একটু আয়োজন করার চেষ্টা করবো। শিল্পী সমিতির স্টাডি রুমে এমনিতে আমরা সবাই মিলে খেলা দেখি। সেখানে খাওয়া দাওয়া হৈ হুল্লোর হয় নিয়মিতই। এর মধ্যে তো বৃষ্টি বাগড়া দেয়। কাজ না থাকলে তো ওখানে আমরা সবাই আড্ডা দেই। কোনাল: যখন কাজ না থাকে, তখন তো আয়োজন করে দেখতে পারি। বাকি যে খেলাগুলো হয়েছে, তার আগে পিছে লাইভ ছিলো। লাইভের কারণে প্রাকটিসে যেতে হয়েছে। প্রাকটিসে বসে বসেও আমরা স্কোর দেখছিলাম। একটা গান শেষে হৈ হুল্লোর পওে যেত এই স্কোর কত হলো। বাংলাদেশের প্রথম খেলার সময় চিরকুটের স্টুডিওতে ছিলাম। সুমি আপা তার ব্যান্ডের সবাইকে নিয়ে আমরা একসঙ্গে খেলা দেখেছি। তখন তো রোজা ছিল। ইফতার করে আমরা একসঙ্গে বেশ মজা করে সেদিন খেলা দেখেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ম্যাচে তেমন কাজ ছিল না। বাসায় ছিলাম। বাসায় সবাই মিলে খেলা দেখেছি। ভালো রান্নাবান্না হয়েছে। এরকমটা হয় সাধারণত। পূজা চেরি: খেলা দেখায় আমার প্রতিদ্বন্দ্বি বাবা ও ভাই। খেলা দেখাটা সাধারণত তাদের সঙ্গেই হয়। বাংলাদেশের খেলায় তো সবাই একই দল। তখন প্লেয়ারদের নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। আমি কোন প্লেয়ারের সাপোর্ট যদি টানি যে ও ভালো খেলবে। তাহলে ওরা হয়তো তার খুত বের করে। এবার একসঙ্গে প্রথম ম্যাচটা শুধু দেখতে পেরেছি। এরপর শুটিংয়ের ব্যস্ততা ছিল। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলায় ছিলাম শানর শুটিং স্পটে। আমরা শুট করেছি আবার খোঁজ নিয়েছি খবর কি। বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠলে ইচ্ছে আছে আমরা জাজ মাল্টিমিডিয়ার সবাই মিলে খেলা দেখবো। এমনিতে জাজের অফিসে বসেও আমরা একসঙ্গে খেলা দেখি। আর/০৮:১৪/২০ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/31LdvJ6
June 20, 2019 at 09:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন