লন্ডন, ০৬ জুন- মাঠের নাম না জানা থাকলে যে কেউ দ্বিধায় পড়ে যেতে বাধ্য। লন্ডনের কেনিংটন ওভাল নাকি ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা?- প্রশ্নটাও করে ফেলতে পারে কেউ কেউ। এমন প্রশ্ন করলে অবশ্য তাদের দোষ দেয়া যাবে না মোটেও। দেশে মজা করেই সিলেট শহরকে বলা হয়, বাংলার লন্ডন। তবে কথাটি যে প্রায় অনেকখানিই সত্য, তার প্রমাণ মিলছে এবারের বিশ্বকাপে, বাংলাদেশের ম্যাচের দিনগুলোতে। বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম দুই ম্যাচই ছিলো লন্ডনে, কেনিংটন ওভালে। গত ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আগের ম্যাচেও ওভাল ছিল দর্শকে ভরা। বাংলাদেশের সমর্থকে ঠাসা। প্রবাসী বাঙালি আর দেশ থেকে খেলা দেখতে যাওয়া সমর্থক-ভক্তদের গগনবিদারী চিৎকার, হাততালি, বাংলাদেশ-বাংলাদেশ, সাকিব-সাকিব ধ্বনিতে বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছিল ওভালের আকাশ বাতাস। বুধবারও একই অবস্থা। সেই দুপুর দেড়টায় খেলা শুরুর অন্তত আড়াই ঘন্টা আগে থেকে লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাতাল রেল (টিউব), বাস, প্রাইভেট কার ও ট্যাক্সিতে চেপে ওভালে এসে সমবেত হয় অন্তত ১৫ হাজার বাঙালি। তাদের বেশির ভাগেরই পরনে বাংলাদেশের সবুজ জার্সি। অনেকেরই হাতে ছোট বড় জাতীয় পতাকা। ম্যাচ শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান রস টেইলর বলেন, মনেই হয়নি ওভালে বিশ্বকাপ খেলছি। বাংলাদেশের ঢাকা বা চট্টগ্রামে খেলছি এমন আবহই টের পেয়েছি খেলার পুরো সময়জুড়ে। শুধু রস টেইলরই নয়, ওভালে খেলা দেখতে আসা আরেক ব্রিটিশ নাগরিক সায়মন বাটলার, যিনি এসেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সমর্থনে, তিনিও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করলেন ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিদের দেশপ্রেমের কথা। হেসে বললেন, ভালোভাবে পরিসংখ্যান খুঁজলে হয়তো দেখা যাবে এবারের ওয়ার্ল্ড কাপে টিকেট বিক্রি করে আইসিসির যা আয় হয়েছে তার অধিকাংশই এসেছে টাইগার সমর্থকদের পকেট থেকে। তার মতে, খেলাপ্রেমী হলেই শুধু এটি হয় না, এর মূলে কাজ করে শিকড় প্রেমের চেতনা। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশি, বিশেষ করে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সেই শিকড় প্রেমই বিশ্বাসবাসীর চোখে ভাসছে। সূত্র: বিডি২৪লাইভ আর এস/ ০৬ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2JZzbeX
June 06, 2019 at 07:29AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top