লন্ডন, ০৯ জুন- লড়াইটা দুইয়ের সঙ্গে পাঁচের- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া। এবারে বিশ্বকাপের আগে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট বোদ্ধাদের কণ্ঠে ফেবারিট হিসেবে যাদের নাম শোনা গেছে তাদের মধ্যে ওপরের দিকেই এই দুদল। বলা হচ্ছে- ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের বিগ ম্যাচ এটি। এ ম্যাচ ঘিরে ছড়াচ্ছে রোমাঞ্চও। দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন সমর্থকরাও। রোববার (০৯ জুন) ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের দ্য ওভাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি, মাছরাঙা চ্যানেল ও স্টার ওয়ান। চলতি বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জিতে আছে ফুরফুরে মেজাজে আছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করেছে ওয়ার্নার-স্মিথরা। ফলে আজ যারা জিতবে তারা অনেকটা এগিয়ে যাবে। আইসিসির প্রকাশিত সবশেষ র্যাকিংয়ে ১২১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয় আর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ১০৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছে ৫ম স্থানে। এ ম্যাচ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার, সর্বকালের সবচয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন ক্রিকেটার জেফ থমসন বলেছেন, ম্যাচটায় সামান্য হলেও ভারতই এগিয়ে। দুটো কারণে আমি কোহালিদের এগিয়ে রাখছি। এক, ওদের ব্যাটিং অনেক জমাট। দুএক জনের উপরে ভরসা করে দাঁড়িয়ে নেই। উপরের দিকের ব্যাটিং বিভাগ খুব শক্তিশালী। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের এক সময় খুব লড়াকু বলা হত। ভারতের বর্তমান প্রজন্মের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেই অস্ট্রেলীয় মনোভাব দেখতে পাই আমি। ওরা সহজে হার মানার পাত্র নয়। অধিনায়ক কোহালি নিজে এই আগ্রাসী মনোভাবের নেতৃত্ব দেয়। আর ভুলে গেলে চলবে না, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ রেকর্ড রয়েছে কোহালির দুই, ভারতের স্পিন আক্রমণ। পেস বিভাগে দুদলের মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই হলেও কোনও সন্দেহ নেই, স্পিন-দ্বৈরথে ভারত অনেক এগিয়ে। চহাল আর কুলদীপ মাঝের ওভারগুলোতে যে কোনও প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে দিতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সেখানে রয়েছে শুধুই অ্যাডাম জ়াম্পা। তেমন কিছু প্রভাব সৃষ্টি করতে পারছে না। নেথান লায়ন টেস্টে ম্যাচ জেতানো স্পিনার, ওয়ান ডে-র জন্য খুব ভাল নয়। তিনি বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের উপরে খুব বেশি ভরসা রাখতে পারছি না। স্টিভ স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার দলে ফিরেছে। ওরা রানও করেছে। কিন্তু বাকিরা কী করছে? উপরের দিকের ব্যাটিংকে মোটেও জমাট দেখাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার। জেফ থমসনের মনে প্রশ্ন, স্মিথ-ওয়ার্নার দুজনে এক সঙ্গে ব্যর্থ হলে বাকিরা যথেষ্ট প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে তো? তিনি বলেন, অস্ট্রেলীয় টেলএন্ডারদের মধ্যে একটা নাছোড় মনোভাব আছে। ওরা ব্যাট করতে জানে। কামিন্স ভালো ব্যাট করে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নেথান কুল্টার-নাইল ৯২ করে দিল। কিন্তু রোজ রোজ টেলএন্ডাররা রক্ষা করবে, এমন আশাও করা উচিত নয়। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার আরও বলেন, কোহালিদের নিয়েও বলা হয়েছে ঠিকই যে, ওদের ব্যাটিং বড্ড বেশি দুতিন জনের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে প্রথম তিন জনের উপরে। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহালি। কিন্তু আমি এই তত্ত্ব মানি না। আমার মনে হয়, কে এল রাহুল চার নম্বরে যথেষ্ট ভালো নাম। ধোনির অভিজ্ঞতা আছে, হার্দিক পান্ডিয়ায় তারুণ্যের স্ফূর্তি আছে। সঙ্গে কেদার যাদবও খেলতে পারে। বিশ্বকাপ কখনও একজন বা দুজন তারকার উপর নির্ভর করে জেতা যায় না। সম্পূর্ণ দলগত প্রচেষ্টা চাই। ভারতকে অনেক স্বয়ংসম্পূর্ণ দল মনে হচ্ছে। এনইউ / ০৯ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2EZkBzU
June 09, 2019 at 10:13AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top