ইসলামাবাদ, ০১ জুন- ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে লজ্জাজনক হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের কঠোর সমালোচনা করলেন সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার। প্রশ্ন তুললেন সরফরাজের ফিটনেস নিয়ে। এমন ফিটনেস নিয়ে তিনি কিভাবে খেলতে নামলেন, একটি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন- সেটাই বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে শোয়েব আখতারের মধ্যে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচের শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে অনেক দুরে সরে যেতে থাকে সরফরাজ আহমেদরা। টস জিতে পাকিস্তানকেই ব্যাটিংয়ে পাঠান ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ট্রেন্টব্রিজে এর আগে সাম্প্রতিক সময়ের ইতিহাস বলছে, এখানে সর্বশেষ যে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে সবগুলোতেই স্কোর ছিল ৩০০ প্লাস। অথচ, টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা এক রহস্যময় আচরণ করলেন। অলআউট হয়ে গেলেন কেবল ১০৫ রানে। কোনোমতে টেনে-টুনে ১০০ পার করতে পারলো সরফরাজ আহমেদের দল। খেলতে পারলো ২১.৪ ওভার। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ম্যাচটাকে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ভেবে ভুল করেছিল কি না কে জানে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান করলো তারা। ক্যারিবীয় পেসারদের তোপের মুখে টিকতেই পারলো না কেউ। জেসন হোল্ডাররা শট বল করেই কাবু করে ফেলে ফাখর জামান, বাবর আজমদের। পেসার ওশানে থমাস ২৭ রান দিয়ে নেন ৪ উইকটে। হোল্ডার ৩টি এবং আন্দ্রে রাসেল নেন ২ উইকেট। পাকিস্তানিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ রান করে করেন ২ জন। বাবর আজম আর ফাখর জামান। ১০৫ রানের স্কোর কোনোভাবেই চ্যালেঞ্জ জানানোর মত ছিল না ক্যারিবীয়দের সামনে। বিশেষ করে ক্রিস গেইলের সামনে। তিনি নিজ দলের জয় নিশ্চিত করেই তবে মাঠ ছাড়েন। তবুও মোহাম্মদ আমির কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে। ২৬ রান দিয়ে একাই ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ৩৪ বলে ৫০ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজ জয় এনে দেন গেইল। এমন এক ম্যাচের পর পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজের কঠোর সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন শোয়েব আখতার। যেখানে সরফরাজের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শোয়েব। পেটের চর্বি বেড়ে যাওয়া, মুখমন্ডলে অলসতার চাপ সুস্পষ্ট। শোয়েবের মতে, বিশ্বকাপের মত ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি আনফিট সরফরাজ। শোয়েব আখতার বলেন, যখন সরফরাজ আহমেত টস করার জন্য আসলেন, তেখন দেখা গেলো তার পেট বেরিয়ে আসছে। তার চেহারায় চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই প্রথম অধিনায়ক, যাকে আমি দেখলাম পুরোপুরি আনফিট। নিজেকেই সে নাড়াতে পারছে না এবং উইকেটের পেছনেও কিপিং করতে গিয়ে তাকে খুব সংগ্রাম করতে দেখলাম আমি। সূত্র: বিডিভিউ২৪ আর/০৮:১৪/০১ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2wvxiOb
June 01, 2019 at 09:51AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন