লন্ডন, ১৭ জুন- ইতিহাস ও পরিসখ্যান- দুইই বাংলাদেশের পক্ষে। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মে- এই ১০ মাসে বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর এই গত মাসে আয়ারল্যান্ডে হওয়া তিন জাতি টুর্নামেন্ট মিলে ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের পাল্লা অনেক ভারী। টাইগাররা সাতবারই জিতেছে। এমন নয়, এই জয়গুলো শুধু দেশের মাটিতে। গত বছরের জুলাই মাসে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১এ সিরিজ হারিয়ে এসেছে। আর তার মাত্র পাঁচ মাস পর দেশের মাটিকে ঠিক একই ব্যবধানে উইন্ডিজকে হারিয়েছে মাশরাফির দল। সবশেষ গত মাসে আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি আসরে রবিন লিগে দুইবার এবং ফাইনালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সোমবারের খেলার আগে ঘুরে ফিরে ঐ ইতিহাস-পরিসংখ্যান আসছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময়ে পারে না, পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ- এসব কথাই হচ্ছে। এই তো শনিবার মিডিয়ার সামনে কথা বলতে এসে তামিম ইকবালও বলে গেছেন, সাম্প্রতিক ফলকে মানদন্ড ধরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমরাই ফেবারিট। কিন্তু তামিমের পথে হাটতে চান না দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টাইগার ক্যাপ্টেন অতীতের কথা ভেবে এ ম্যাচে নিজ দলকে ফেবারিট মানতে চান না। তার দলের গায়ে ফেবারিটের তকমা মাখতেও নারাজ। কেন মাশরাফি এমন ভাবছেন? শুনে একটু অবাক হলেন? তা একটু হতেই পারেন। যে দলকে গত ৯ ম্যাচে ৭ বার হারানোর রেকর্ড আছে, সেই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজেদের ফেবারিট ভাবায় তো দোষ নেই। সেটাই যে স্বাভাবিক। কিন্তু মাশরাফি তা মনে করেন না। কেন করেন না? তা শুনলে মনে হবে মাশরাফিই ঠিক। আসুন শুনে নেই মাশরাফির ব্যাখ্যা, অনেকেই ৯ খেলায় ৭ জয়ের কথা ভাবছেন। ঐ প্রসঙ্গ, ইতিহাস,পরিসংখ্যান আসতেই পারে। তবে আমরা আগের নয় ম্যাচের সাতটিতে জিতেছি বলেই যে এ ম্যাচেও জিতে যাব- এমন নয়। কেন নয়? তার ব্যাখ্যায় টাইগার অধিনায়ক বলে দিলেন, ভুলে গেলে চলবে না, এটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয় যে, আগের সুখস্মৃতি কাজে দেবে। বিশ্বকাপে টানা ৯ দলের সাথে খেলা। সেটাও এক ভেন্যুতে নয়। ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যু তথা ভিন্ন পরিবেশে। অতীতে কি হয়েছে? তা ভেবে ও ঐ চিন্তায় খেললে কার্যকর ফল পাওয়া যাবে না। এখানে এক ম্যাচ খেলার পর অন্য দল আর ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা। এক ম্যাচের পরই অন্য দল ও কন্ডিশনে খেলার কথা ভাবতে হচ্ছে। সেখানে অতীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে কিভাবে জিতেছিলাম- তা ভেবে বসে থাকলে তো আর চলবে না। মাশরাফি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপ ভিন্ন আসর। ভিন্ন কন্ডিশন। সেখানে এক দলের সাথে নয়, বরং ৯টি দলের সাথে খেলা। তাদের সবাইকে নিয়ে আর বিভিন্ন ভেন্যুর কন্ডিশন নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়। আগে কবে কোথায় কোন মাঠে দল জিতেছে , তার সাথে এ আসরের লড়াইয়ের মিল খোঁজার চিন্তা তাই সঠিক নয়। এখানে পরিবেশ-পরিস্থিতিটাই আসল এবং সে পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী সামর্থ্যের সেরাটা উপহার দিতে পারাও একটা বড় কাজ। সেই কাজ করে দেখাতে পারলেই মিলবে জয়ের দেখা। মাশরাফির ভাবনায় শুধু সেই কাজগুলো ঠিক মত করতে পারার চিন্তা। অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে তাই নারাজ বাংলাদেশ অধিনায়ক। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৭ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2IjsKB8
June 17, 2019 at 05:40AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top