প্রথমার্ধে একবার, দ্বিতীয়ার্ধে দুইবার- পুরো ম্যাচে মোট তিনবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছিল ব্রাজিল, বিপরীতে তাদের জালে বল প্রবেশ করেনি একবারও। কিন্তু তবুও ম্যাচশেষে জয় মেলেনি ব্রাজিল ফুটবল দলের। কারণ তিন গোলের একটিও যে বৈধ গোল ছিল না। একবার ফাউল, একবার অফসাইড এবং অন্যবার অপরিষ্কার এক কারণে গোল বাতিল হয়ে গেলে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের। তবে এ ড্রয়ের পরেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ব্রাজিল। এ গ্রুপের ২ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে পেরুর ঝুলিতেও রয়েছে ৪ পয়েন্ট। কিন্তু গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। বুধবার ভোরে ফন্তে নোভা এরেনায় ম্যাচের প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় ভেনেজুয়েলার রক্ষণকে চাপে রাখে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই মারকুইনহোস, ডেভিড নেরেস ও থিয়াগো সিলভার বোঝাপড়ায় আলো সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিল ব্রাজিল। তবে শেষপর্যন্ত গোল করা হয়নি তাদের। অষ্টম মিনিটে ক্যাসেমিরো কিংবা একাদশ মিনিটে ফিলিপ্পে কৌতিনহোও সাজান ভালো আক্রমণ। তবে ম্যাচের ১৫তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ আসে নেরেসের সামনে। আর্থুর মেলোর কাছ থেকে পাস পেয়ে তিনি ১৮ গজ দূর থেকে শট নিলেও, তা চলে যায় বার ঘেঁষে। মিনিট দুয়েকবাদে গোল মিসের হতাশায় পুড়েন রিচার্লিসন। এতসব গোল মিসের হতাশায় ৩৯তম মিনিটে ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। কিন্তু বাঁধ সাধেন রেফারি, যার দায় পুরোটা ফিরমিনোরই। কেননা ডান পাশ থেকে আসা দানি আলভেসের ক্রস রিসিভ করতে গিয়ে, তিনি ডি-বক্সের মধ্যে ফেলে দেন ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার ভিলানুয়েবাকে। ফলে ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি, গোল করেও বঞ্চিত হন ফিরমিনো। গোলশূন্য অবস্থায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে নামার সময়ই রিচার্লিসনের বদলে গ্যাব্রিয়েল হেসুসকে মাঠে নামান ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতে। মাঠে নেমে মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায়ই বল জালে জড়ান হেসুস। কিন্তু এবারও গোল বাতিল করে দেন রেফারি। যার পেছনে আবারও থেকে যায় ফিরমিনোর নাম। ডি-বক্সের বাইরে থেকে হেসুসের শট ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিকভ্রষ্ট হয়ে গেলে তা পান ফিরমিনো। কিন্তু তখন তিনি ছিলেন অফসাইড পজিশনে। ফলে তার কাছ থেকে ফিরতি বল পেয়ে হেসুস গোল করলেও সেটি ভিএআরের সহায়তা নিয়ে বাদ দিয়ে দেন রেফারি। যে কারণে আরও একবার হতাশায় পুড়ে স্বাগতিক দর্শকরা। এই গোল বাতিলের খেলা বাকি ছিল তখনো। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচে হয়তো আর কোনো গোল হবে না, ঠিক তখনই ৮৭ মিনিটে গোল করে বসেন ব্রাজিলের আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক ফিলিপ্পে কৌতিনহো। কিন্তু এবারও ভিএআরের সহায়তা নিয়ে গোল বাতিলের ঘোষণা দেন রেফারি। তবে এবারের গোল বাতিলের কারণে পরিষ্কার ছিল না কারো কাছেই। ঘটনাবহুল এ ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে দুই দফায় আরও ৯ মিনিট যোগ করা হয়। এ ৯ মিনিটেও বেশ কয়েকটি জোরালো আক্রমণ করে ব্রাজিল। কিন্তু ফিনিশিং ব্যর্থতায় কোনোটিতেই গোল পায়নি তারা। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিক দেশটির। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৯ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2WRDJ94
June 19, 2019 at 05:29AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন