আগরতলা, ০১ মে- লোকসভা ভোট মিটতেই প্রবল রাজনৈতিক আলোড়ন ত্রিপুরায়। যে কোনও মুহূর্তে দল ছাড়তে পারেন পরিবর্তনের অন্যতম কাণ্ডারি সুদীপ রায়বর্মণ। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী সভা থেকে ছেঁটে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সুদীপ রায় বর্মণের হাতে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারি মন্ত্রক দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তিনি শিল্প ও বাণিজ্য, পূর্ত, বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব সামাল দিচ্ছিলেন। মন্ত্রীসভার এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। শুক্রবার রাতেই হ্যে গিয়েছে সিদ্ধান্ত। সুদীপ রায়বর্মণের অধীনে থাকা পূর্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক এখন থেকে সামাল দেবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্পল্ব। বাকি দুই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মার কাঁধে। এমন ঘটনার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। দলের মধ্যেই ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন সুদীপ রায়বর্মণ। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আগেই জানিয়েছিলেন বিভীষণদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত থেকে যা কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। কংগ্রেসেই ফিরতে চলেছেন সুদীপবাবু। পোড়খাওয়া রাজনীতিক এর আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। রাজ্যে প্রধান বিরোধী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরে বিজেপিতে যান। তারপর ক্ষমতার পরিবর্তনে ২০ বছরের টানা বাম শাসন শেষ হয় ত্রিপুরা। মূলত সুদীপ রায়বর্মণই ছিলেন সেই রাজনৈতিক পালাবদলের অন্যতম কাণ্ডারি। তাঁর পিতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। গত বছরে বিপুল জনাদেশ নিয়ে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। অবসান ঘটে দির্ঘদিনের বাম শাসনের। এর অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যের সকল পঞ্চায়েত দখল করে নেয় পদ্ম শিবির। তবে এই পঞ্চায়েত দখল নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ওই রাজ্যের দুই কেন্দ্র থেকেই জয় পেয়েছে শাসক বিজেপি। আর/০৮:১৪/০১ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2EMfF1b
June 01, 2019 at 06:22AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন