লন্ডন, ০২ মে- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করছেন টাইগাররা। রোববার ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় মুখোমুখি হবে দুদল। এবারের আসরে এটিই মাশরাফি বাহিনীর প্রথম ম্যাচ। অন্যদিকে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছেন প্রোটিয়ারা। কাগজ-কলমে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ২০ বার মুখোমুখি হয়েছে দুদল। ১৭টিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩টিতে বাংলাদেশ। এ ৩ জয়ের একটি এসেছে ২০০৭ বিশ্বকাপে। বাকি দুটি ২০১৫ সালের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। সর্বোপরি এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু বড় দুর্বলতা আছে। সেসব দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারলে এ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে। অগভীর ব্যাটিং লাইনআপ দক্ষিণ আফ্রিকার বড় দুর্বলতা হচ্ছে, ব্যাটিং গভীরতা কম। কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, ফ্যাফ ডু প্লেসিস। এ তিনজনকে ঘিরে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপ। অর্থাৎ টপঅর্ডাররা কোনো কারণে ভালো খেলতে না পারলে লোয়ার অর্ডাররা সংগ্রহ সুবিধাজনক অবস্থানে নিতে সক্ষম নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেখা গেছে, ১২৯ রানে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর আর মাত্র ৭৮ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বোলিংয়ে অভিজ্ঞতার অভাব দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় দুর্বলতা এটি। গেল কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার কাগিসো রাবাদা। কিন্তু বিশ্বকাপে রাবাদা, এনগিদির অভিজ্ঞতা তেমন নেই। স্টেইনের ইনজুরির কারণে আরও পিছিয়ে পড়েছে এ বোলিং আক্রমণ। ফিকোয়াও ও মরিস সাহায্যের হাত বাড়ালেও সেটি যথেষ্ট হচ্ছে নয়। তবে বাংলাদেশের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন ইমরান তাহির। এ নিয়ে শততম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন তিনি৷ ডু প্লেসিস প্রথম ম্যাচে তাহিরকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন। ফলও পান। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্ডারডগ খেতাব প্রতি বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকা পা রাখে ফেভারিট তকমা নিয়ে। কিন্তু অধিনায়ক ডু প্লেসিস শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছেন তারা আন্ডারডগ। এবি ডি ভিলিয়ার্স, রাইলি রুশো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর শক্তিমত্তায় পিছিয়ে পড়েন প্রোটিয়ারা। মানসিকভাবেও খানিকটা দুর্বল অবস্থায় আছেন তারা। স্টেইনের ইনজুরির সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রথম ম্যাচে হারের তিক্ততা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ফর্ম বাংলাদেশের প্রায় সবাই এখন ফর্মে আছেন। তামিম, সৌম্য, লিটন, মুশফিকুর, সাকিব, মোসাদ্দেক সবার ব্যাটেই রান আসছে নিয়মিত। ওভালের উইকেটও ব্যাটসম্যানদের জন্য দারুণ। প্রায় প্রতি ম্যাচেই এ মাঠে ৩০০+ স্কোর আশা করা হচ্ছে। ইনজুরি দুঃশ্চিন্তা কাটিয়ে মানসিক দৃঢ়তা ধরে রাখতে পারলে এটিই বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ, জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা। তথ্যসূত্র: বিবিসি এন এ/ ০২ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2wyO0MG
June 02, 2019 at 08:10AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন