আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে গেল তিন বছরের মধ্যে এবার আমের দাম বেশ চড়া হলেও ফলন বিপর্যয়ের কারণে তেমন লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেনা আম চাষীরা। তাই ভাল দাম পেয়েও খুশি নেই চাষীরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর হপার পোকার আক্রমণে যে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে তাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় শত কোটি টাকা। তবে কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি গেল তিন বছরের বাণিজ্যিক মন্দাভাবের কারণে চাষীরা বাগান পরিচর্যায় কম গুরুত্ব দেয়ায় ফলন তুলনামূলক কম হয়েছে।
আমের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে প্রচলিত আম চাষের বাইরে নাবি জাতের আম উৎপাদনের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
চাষীরা বলছেন, যে হারে এ বছর আমের ফলন হয়েছে, আর যে দরে আম বিক্রি হচ্ছে তাতে কোনো রকমে উৎপাদন খরচ উঠবে তাদের।
কানসাটের আম ব্যবসায় রুনজুল ইসলাম ও কারিমুল হক জানান, মৌসুমের এই শেষ সময়তেও দেশের সর্ববৃহৎ আম বাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট আম বাজারের যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু আম আর আম। সাড়ে তিন শতাধিক আড়তের কানসাট আম বাজার আর এর বাইরে ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন বাজার, সদরের সদরঘাট আম বাজার ও রহনপুর রেল বাজার স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি পাইকার ও আড়ৎদারদের পদচারণায় মুখোরিত। এরমধ্যে শুধু কানসাট আম বাজারে প্রতিদিন দু’ হাজার মণেরও বেশি আম কেনা বেচা হচ্ছে। টানা তিন বছরের দরপতনের পর এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের দাম বেশ চড়া। কোন কোন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে গতবছরের চেয়ে মণ প্রতি ১ হাজার টাকা বেশি দরে। কিন্তু এবছর ফলন কম হওয়ায় ভাল দাম পেয়েও খুশি নেই আম চাষীরা।
কানসাট আম বাজারে আম কিনিতে আসা ফরিদপুরে ব্যবসায় কুদুস মল্লা বলেন, প্রতিবছর কানসাট আম বাজার থেকে আম নিয়ে ফরিদপুরসহ বিভিন্ন বাজারে আম পাঠানো হয়। এবছর ১৮শ’ মন আম কিনে পাঠানো হয়ছে। তিনি আরো বলেন, আম বিক্রি হচ্ছে গতবছরের চেয়ে মণ প্রতি ১ হাজার টাকা বেশি দরে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, মূলত তিন কারণে এবার আমের ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এরমধ্যে প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে বৈরী আবহাওয়া অর্থাৎ ঝড় ও শীলা বৃষ্টি এবং হপার পোকার আক্রমন। এছাড়া আরো একটি কারণ হচ্ছেÑ গত তিন বছর ট্নাা আম বাণিজ্যের মন্দার কারণে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এ জন্য এবার আমের পরিচর্যায় ততো গুরুত্ব দেন নি তারা।
মৌসুমের শুরুতে জেলায় আমের উৎপাদন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা, গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন কমিয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সব মিলিয়ে আমের ফলন এবার কম হবে। তবে চূড়ান্ত কি পরিমান আম উৎপাদন হবে তা রিসার্ভে শেষে বলা যাবে।
এদিকে ভাল দাম পেলেও কম ফলনের কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে না পারা এখানকার আম চাষীরা এখন তাকিয়ে আছেন আগামী মৌসুমের দিকে।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর ৩২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৪-০৭-১৯
আমের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে প্রচলিত আম চাষের বাইরে নাবি জাতের আম উৎপাদনের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
চাষীরা বলছেন, যে হারে এ বছর আমের ফলন হয়েছে, আর যে দরে আম বিক্রি হচ্ছে তাতে কোনো রকমে উৎপাদন খরচ উঠবে তাদের।
কানসাটের আম ব্যবসায় রুনজুল ইসলাম ও কারিমুল হক জানান, মৌসুমের এই শেষ সময়তেও দেশের সর্ববৃহৎ আম বাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট আম বাজারের যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু আম আর আম। সাড়ে তিন শতাধিক আড়তের কানসাট আম বাজার আর এর বাইরে ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন বাজার, সদরের সদরঘাট আম বাজার ও রহনপুর রেল বাজার স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি পাইকার ও আড়ৎদারদের পদচারণায় মুখোরিত। এরমধ্যে শুধু কানসাট আম বাজারে প্রতিদিন দু’ হাজার মণেরও বেশি আম কেনা বেচা হচ্ছে। টানা তিন বছরের দরপতনের পর এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের দাম বেশ চড়া। কোন কোন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে গতবছরের চেয়ে মণ প্রতি ১ হাজার টাকা বেশি দরে। কিন্তু এবছর ফলন কম হওয়ায় ভাল দাম পেয়েও খুশি নেই আম চাষীরা।
কানসাট আম বাজারে আম কিনিতে আসা ফরিদপুরে ব্যবসায় কুদুস মল্লা বলেন, প্রতিবছর কানসাট আম বাজার থেকে আম নিয়ে ফরিদপুরসহ বিভিন্ন বাজারে আম পাঠানো হয়। এবছর ১৮শ’ মন আম কিনে পাঠানো হয়ছে। তিনি আরো বলেন, আম বিক্রি হচ্ছে গতবছরের চেয়ে মণ প্রতি ১ হাজার টাকা বেশি দরে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, মূলত তিন কারণে এবার আমের ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এরমধ্যে প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে বৈরী আবহাওয়া অর্থাৎ ঝড় ও শীলা বৃষ্টি এবং হপার পোকার আক্রমন। এছাড়া আরো একটি কারণ হচ্ছেÑ গত তিন বছর ট্নাা আম বাণিজ্যের মন্দার কারণে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এ জন্য এবার আমের পরিচর্যায় ততো গুরুত্ব দেন নি তারা।
মৌসুমের শুরুতে জেলায় আমের উৎপাদন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা, গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন কমিয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সব মিলিয়ে আমের ফলন এবার কম হবে। তবে চূড়ান্ত কি পরিমান আম উৎপাদন হবে তা রিসার্ভে শেষে বলা যাবে।
এদিকে ভাল দাম পেলেও কম ফলনের কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে না পারা এখানকার আম চাষীরা এখন তাকিয়ে আছেন আগামী মৌসুমের দিকে।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর ৩২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৪-০৭-১৯
from Chapainawabganjnews https://ift.tt/2JCcSJy
July 14, 2019 at 03:05PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন