ঢাকা, ২৪ জুলাই - বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে যে লবিং-গ্রুপিং শুরু হয়েছিল সেখানে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টুর বিরুদ্ধে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক দ্ইু সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস ও মোহাম্মদ শাহ আলম। কিন্তু এ দুইজনের মধ্যে ইব্রাহিম চেঙ্গিস সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার পরিকল্পনা থেকে সরে যোগ দিয়েছেন শাহ আলমের সঙ্গে। তিনি শাহ আলম প্যানেলের সহসভাপতি প্রাথী। ইব্রাহিম চেঙ্গিস সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন না করলেও সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই পদে প্রার্থী থাকছেন তিনজনই। অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু ও মোহাম্মদ শাহ আলমের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন এস এস সাদাত হোসেন সোহেল। তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর। আজ (মঙ্গলবার) ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার দিন। ২৮ পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৪৫টি। অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু পূর্ণাঙ্গ প্যানেল জমা দিয়েছেন। তার প্যানেল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে ৩০টি। আর শাহ আলম প্যানেলের মনোয়নপত্র জমা পড়েছে ১৩টি। দুটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে আলাদাভাবে। তিনি এস এস সাদাত হোসেন সোহেল। সাধারণ সম্পাদক পদের পাশাপাশি তিনি যুগ্ম সম্পাদক পদেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৫টি সহসভাপতি পদেই প্রার্থী দিয়েছে অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু প্যানেল। শাহ আলম প্যানেলে দিয়েছে চারটি। দুটি যুগ্ম সম্পাদক পদেই প্রার্থী আছে দুই প্যানেলের। দুই প্যানেলের প্রার্থী আছে একটি কোষাধ্যক্ষ পদেও। ১৯ টি সদস্য পদের জন্য মন্টু প্যানেল থেকে ১৯ জনেরই মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছ। শাহ আলম প্যানেল থেকে জমা পড়েছে ৬টি। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনটি মনোয়নপত্র জমা পড়লেও শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকতে পারেন আব্দুর রকিব মন্টু আর মোহাম্মদ শাহ আলম। এ পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া তৃতীয়জন এস এস সাদাত হোসেন সোহেল যুগ্ম সম্পাদক পদেও আছেন। তাকে যে কোনো একটি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। অ্যাথলেটিক্স অঙ্গনের অনেকেই বলছেন এস এস সাদাত হোসেন সোহেল যুগ্ম সম্পাদক পদ নিয়ে যে কোনো প্যানেলের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নির্বাচনে ১২০ জন কাউন্সিলর। তাদের ভোটেই আগামী চার বছরের জন্য ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবে। এই ফেডারেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ভোটের দিন ঠিক হলেও সে নির্বাচন আর হয়নি। পরে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ অ্যাডহক কমিটি গঠন করে ক্রীড়া পরিষদ। অ্যাডহক কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেষণা দেয়া হলেও পার হয়ে গেছে প্রায় আড়াই বছর। অর্ধযুগ পর আবার হতে যাচ্ছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী বুধবার মনোনয়নপত্র বাছাই, বৃহস্পতিবার বাতিলকৃত মনোনয়নপত্রের ওপর আপিল গ্রহণ, ২৮ জুলাই আপিলের শুনানী, ২৯ জুলাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ৩ আগস্ট সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরনো ভবনের সভাকক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৪ জুলাই.
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/32K45xP
July 24, 2019 at 07:30AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন