লন্ডন, ১৫ জুলাই- বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের আগে বেন স্টোকসের বাবা জেরার্ড স্টোকস বলেছিলেন, স্টোকস ইংল্যান্ডের হয়ে খেললেও আমি নিউজিল্যান্ডকে সমর্থন করব। কারণ, জন্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডের নাগরিক তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ছেলের কাছেই হেরে গেলেন বাবা ও তার দল। বেন স্টোকসের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের ওপর ভর করেই কিউইদের হারিয়ে প্রথমবারের বিশ্বসেরার খেতাব অর্জন করল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে খেললেও বেন স্টোকসের জন্ম কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে। বাবার কর্মজীবনের কারণে ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠেন তিনি এবং ক্রিকেট খেলার জন্য ইংলিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এই অলরাউন্ডার। প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতার জন্য নিজের দেশের বিরুদ্ধেই তাকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করলো ইংলিশরা। লর্ডসের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার জন্য ২৪১ রানের সহজ লক্ষ্যই পায় ইংল্যান্ড; কিন্তু সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০০ রানে মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইংলিশরা। সেখান থেকে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি এবং দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন। জস বাটলারের সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান তিনি। বাটলার আউট হওয়ার পর আরো কয়েকটি উইকেট চলে গেলে একা হয়ে যান স্টোকস। তবে হাল ছাড়েননি এই অলরাউন্ডার। জয় এনে দিতে না পারলেও ম্যাচ টাই করে সুপারে ওভারে নিয়ে যান। আর সেখানেও দলকে উপযুক্ত সংগ্রহ এনে দেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারও টাই হলে বাউন্ডারি ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে যায় ইংল্যান্ড। আর আক্ষেপে পুড়তে হয় নিউজিল্যান্ডকে। এক রানের জন্য শিরোপা না ছুঁতে পারার চেয়ে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। তবে তার চেয়েও কিউইদের সবচেয়ে বেশি পোড়াবে বেন স্টোকসের ৯৮ বলে খেলা ৮৪ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংসটি। একটা স্বদেশি ছেলের কাছেই সোনার শিরোপাটি খোয়াতে হয়েছে তাদের। এই ভেবেই সারাজীবন আফসোস করতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। জন্মভূমি হলেও নিউজিল্যান্ডকে হারানোয় কিছু যায় আসে না স্টোকসের। কেননা ম্যাচের আগেই তার বাবা বলেছিলেন, স্টোকসের জন্ম নিউজিল্যান্ডে হলেও সে সবসময় নিজেকে গর্বিত ইংলিশম্যান হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করে। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৫ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Sdg2Yb
July 15, 2019 at 05:06AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন