ঢাকা, ১৩ জুলাই- সোহানা সাবা। অভিনেত্রী ও মডেল। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র আব্বাস। এ চলচ্চিত্র ও অন্যান্য ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে- আব্বাস ছবি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? ছবিটি দর্শকের ভালো লেগেছে না মন্দ লেগেছে, তা সরাসরি জানার সুযোগ হয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আব্বাস নিয়ে দর্শকের যেসব মন্তব্য দেখছি তাতে মনে হয়েছে, ছবিটি অনেকের মনে ছাপ ফেলেছে। ছবি মুক্তির আগে ব্যক্তিগত কারণে দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। মুক্তির সময়েও দেশে ছিলাম না। প্রচারণাতেও অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে ও পরে দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার জন্য খোঁজখবর ঠিকই রেখেছি। অনেকে বলছেন, আব্বাস সেই ধরনের ছবি, যার জন্য তারা দীর্ঘদিন প্রতীক্ষায় ছিলেন। এমন মন্তব্য শুনে মনে হয়েছে, যে প্রত্যাশা নিয়ে ছবিতে কাজ করেছি, তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। ছবিতে আপনার চরিত্র ও অভিনয় নিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া কি? আব্বাস ছবিতে অভিনয় করে এত অল্প সময়ে দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। এ ছবির পেছনে অনেক শ্রম দিয়েছি। ওটু চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিজেকে আলাদা করে তৈরি করে নিতে হয়েছে। এর আগে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা হয়ে ওঠেনি। অভিনয়ের পাশাপাশি আব্বাস ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন শুনলাম? ঠিকই শুনেছেন, অভিনয় ছাড়াও ছবিতে প্লেব্যাক করেছি আমি। মাত্র এক শটে সেই গানের দৃশ্যধারণ করা হয়েছিল। প্রথম কোনো ছবিতে প্লেব্যাক, এক শটে তার দৃশ্যধারণ- সবই ছিল চ্যালেঞ্জিং। টানা চার দিন প্র্যাকটিস করার পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। সোনারগাঁর পানাম নগরে ভ্যাপসা গরমে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা শুটিং করেছি। সে অভিজ্ঞতা কী পরিমাণ কষ্টদায়ক ছিল, তা বলে বোঝানো যাবে না। এখন দর্শক প্রশংসা পাওয়ার পর পরিশ্রম সার্থক বলে মনে হচ্ছে। বড় পর্দায় আপনাকে কম দেখা যায়। বাছাই করে কাজ করেন বলেই কি আপনার ছবির সংখ্যা অন্যদের তুলনায় কম? কাজ যদি ভালো না হয়, তাহলে শুধু সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি? অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেক কাজ করার ইচ্ছাও নেই। সংখ্যায় কম হলেও ভালো কাজ করতে চাই, যা দর্শক বেশি দিন মনে রাখবে। এজন্য কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা যাচাই-বাছাই করতে হয়। আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে মধ্যবর্তিনী ধারাবাহিক নাটকটি নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন গল্পেও কি আপনাকে দেখা যাবে? হ্যাঁ, কদিন আগেই মধ্যবর্তিনী নাটকের শুটিং করেছি। দ্বিতীয় গল্পের পর্বগুলো শিগগিরই দীপ্ত টিভিতে প্রচার হবে। আহমেদ খান হিরকের রচনায় ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন রাজু খান। নাটকে গল্প বদলে গেলেও এতে দর্শক আমাকে শাম্মি চরিত্রেই দেখতে পাবেন। ঈদের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা কেমন? এখনও সেভাবে ঈদের কাজ শুরু করতে পারিনি। নানা ব্যস্ততায় ঈদের নাটক, টেলিছবির সিডিউল মেলাতে পারছি না। সবকিছু গুছিয়ে এ মাসের শেষ দিকে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। উপস্থাপক সাবাকে আবার দেখা যাবে কি? অবশ্যই দেখা যাবে। কারণ উপস্থাপনার প্রতি ভালোবাসা সবসময় ছিল। সাবাস কনফেশন বক্স-এর পর আর কোনো অনুষ্ঠান করিনি। তবে সময়-সুযোগ পেলে যে কোনো সময় উপস্থাপনায় ফিরব। আর/০৮:১৪/১৩ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2jI8gc3
July 13, 2019 at 09:13AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top