আগরতলা, ৩১ জুলাই- প্রথম নির্ধারিত ভোটের আগেই। লক্ষ্য কে দ্বিতীয় বা তৃতীয় হবে। ত্রিপুরায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বলে দেবে রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কারা। তবে গত বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল সিপিএমের কাছে অস্তিত্ব বজায় রাখার লড়াই। সেই নির্বাচনে টানা দু দশকের বেশি ক্ষমতা থেকে সরে গিয়েছে বামেরা। তারপর লোকসভা নির্বাচনে আচমকা কংগ্রেসের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা। সবমিলে ত্রিপুরার রাজনীতিতে চলছে বিরাট টালমাটাল পরিস্থিতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বলবে কারা হচ্ছে রাজ্যের আগামী বিরোধী শক্তি। বিরোধী দুই পক্ষই সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ত্রিপুরায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮৬ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি। রাজ্যে তারাই ক্ষমতায়। বাকি যে ১৪ শতাংশ আসনে ভোট হয়েছে তারই ফল প্রকাশ বুধবার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য- ১। মোট ৬৬৪৬টি আসন। ৯৯৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। ২। ৫৯১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬১১১টি আসন। ভোট হবে ৮৩৩টি আসনে। ৩। ৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৪১৯টি। ভোট হবে ৮২টি আসনে। ৪। ৮টি জেলা পরিষদের ১১৬টি আসন। ভোট হবে ৭৯টি আসনে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনেই জয়ী হন বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু ব্যাপক ভোট রিগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন বুথের ছবি দেখে নিশ্চিত হয় রিগিং সম্পর্কে। ফলে বিভিন্ন বুথে পুনরায় ভোট হয়। পাশাপাশি খুনের হুমকি ও রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছেই। লোকসভা পরবর্তী সময়ে বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস বারে বারে শাসক বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে। একাধিক ঘটনায় ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি হয়েছে রক্তাক্ত। অন্যদিকে শাসক বিজেপির দাবি, রাজ্যবাসী সরকারের পাশে থেকে উন্নয়নে সামিল হয়েছেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮৬ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারকে বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস কটাক্ষ করে। তাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুঠ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছে, তেমনই বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপি ত্রিপুরায় ভোট লুঠ করছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট ধস নামে রাজ্যের বাম শক্তিতে। তবে তার পরেও প্রধান বিরোধী দল তারাই। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের হিসেব বলছে, ভোট প্রাপ্তির নিরিখে কংগ্রেস এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যবাসী অদূর ভবিষ্যতে কংগ্রেসকেই ফের ক্ষমতায় আনতে চলেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা মানিক সরকারের দাবি, ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে গণতান্ত্রিক কাঠামোকেই ভেঙেছে বিজেপি। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যকে গণহত্যার ল্যবরেটোরিতে পরিণত করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রক্তাক্ত হয়েছে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকা। বারে বারে ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বুধবার গণনা শুরুর পরেই। সবার নজর দ্বিতীয় কে হচ্ছে। আর/০৮:১৪/৩১ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2LQJIdk
July 31, 2019 at 09:33AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top