কলম্বো, ২৯ জুলাই- চার বছর ঘরের মাঠে কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে এবং তিলকারত্নে দিলশানদের একসঙ্গে অবসরের কারণে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয় যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কার জন্য। অবশেষে সেই জয়টা এলো লঙ্কানদের ঘরে। ঘরের মাঠে অবশেষে তারা সিরিজ জয় করতে পারলো। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নিলো শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের দলকে দ্বিতীয় ম্যাচেও হেসে-খেলে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। হাতে ছিল তখনও ৩২ বল। অর্থ্যাৎ, ৫.২ ওভার। আভিসকা ফার্নান্দো আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের ব্যাটেই জয়ের দেখা পেয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও নির্বিষ বোলিং উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে নিজেদের বোলিং ডিপার্টমেন্টকেই দুষলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই বোলিংয়ে ৩০০ রানও যথেষ্ট ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে স্বাগতিকদের কাছে ৯১ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল তামিমদের সামনে। কিন্তু এই ম্যাচেও যথারীতি বিবর্ণ ছিল সফরকারীদের পারফর্মেন্স। শুরুতে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। মাঝারি এই পুঁজি নিয়েও লড়াই করা সম্ভব ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। কিন্তু শফিউল, মুস্তাফিজ, মিরাজদের নির্বিষ বোলিংয়ে একেবারেই সেটি সম্ভব হয়নি। ফলে সিরিজ হারই নিয়তি হয় তামিমদের। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক তামিম কোনো প্রকার রাখঢাক না রেখেই নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে আজ বোলিং করেছি, তাতে মনে হয় ৩০০ রানও যথেষ্ট ছিল না। আমরা দুই ম্যাচেই আমাদের মোমেন্টাম পেয়েছি, কিন্তু আমরা প্রস্তুত ছিলাম না কঠোর পরিশ্রম করে জয় ছিনিয়ে আনতে। এই ম্যাচে শুরুতে টস জেতার পরও এর সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই উইকেটে অন্তত ২৬০ রান প্রত্যাশা করেছিলেন অধিনায়ক তামিম। তাঁর ভাষায়, আমি টসের সময়ে বলেছিলাম যে আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে, কিন্তু প্রথমের দিকে চার উইকেট হারিয়ে ফেলায় আমরা সেটি পারিনি। এটি ৩০০ রান করার মতো উইকেট ছিল না, কিন্তু ২৬০ রান ভালো স্কোর হতে পারতো। একজন বাড়তি স্পিনার হিসেবে নেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা তাইজুল ইসলামকে। মূলত উইকেট থেকে টার্ন পাওয়ার কথা ভেবেই তাঁকে নিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট বলে জানান তামিম। তিনি বলেন, টস জেতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ আমরা জানতাম যে উইকেট থেকে স্পিন পাওয়া যাবে পরে। আমরা এই কারণেই একজন বাড়তি স্পিনার নিয়েছিলাম। সূত্র: বিডি২৪লাইভ আর/০৮:১৪/২৮ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2GBuKn7
July 29, 2019 at 05:08AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন