গত তিন আসরের মতো এবারের বিশ্বকাপটাও ভালো কাটেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবালের। ৮ ইনিংস খেলে ১ ফিফটিতে তিনি করতে পেরেছেন মাত্র ২৩৫ রান। শুধু বিশ্বকাপই নয়, তামিম ইকবালের ব্যাট কথা বলছে না ঠিক এক বছর ধরে। আজকের তারিখ থেকে ঠিক ৩৬৫ দিন আগে, ২৮ জুলাই ২০১৮তে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের সবশেষ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তামিম। তার ১২৪ বলে খেলা ১০৩ রানের ইনিংসে ভর করেই সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। এরপর আরও ২০ ইনিংসে ব্যাট করে একবারের জন্যও তিন অঙ্কে যেতে পারেননি টাইগারদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। এ সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি ফিফটি, সর্বোচ্চ সংগ্রহ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস। এ ২০ ইনিংসের মধ্যে ২ বার ফিরেছেন শূন্য রানে ও ৬ বার থেমেছেন দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই। মাত্র ৩১.৪৪ গড় ও ৭৩.৬০ স্ট্রাইকরেটে তামিমের সর্বমোট সংগ্রহ ৫৬৬ রান। গত ৩৬৫ দিনে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মুশফিকুর রহীম। ২টি সেঞ্চুরি ও ৭টি ফিফটিতে ৫৫.৪২ গড়ে তার সংগ্রহ ১১৬৪ রান। মুশফিকের চেয়ে ১০ ইনিংস কম খেলে ২ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটিতে ৬৩.৫৭ গড়ে সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৮৯০ রান। তামিমের সবশেষ সেঞ্চুরির পর থেকে, ওয়ানডে ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন দলের দুই তরুণ ওপেনার কাম টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার (৬৮১) এবং লিটন দাস (৬০৩)। দুজনেরই রয়েছে ১টি করে সেঞ্চুরি। অথচ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বেরই অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন তামিম। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হওয়া সে বিশ্বকাপ খেলে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৩১২ রান করার মাধ্যমে শুরু হয় তামিমের স্বপ্নযাত্রার। যার সমাপ্তি ঘটে ২০১৮ সালের আজকের তারিখ তথা ২৮ জুলাইতে। মাঝের সময়টায় অর্থাৎ বিশ্বকাপের পর থেকে গতবছরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ পর্যন্ত তামিম একাই ছিলেন সর্বেসর্বা। এসময় ৪০ ইনিংসে ব্যাট করে ১৪টি ফিফটির সঙ্গে ৭টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। স্ট্রাইকরেট খানিক কম (৭৯.৬৭) হলেও ৬২.২৮ গড়ে সর্বমোট করেছিলেন ২১৮০ রান। উল্লেখিত এ সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা মুশফিক, তামিমের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন প্রায় ৮০০ রানে! তিনি ৮ ফিফটি ও ৩ সেঞ্চুরিতে ৪৪.৪১ গড়ে করেছিলেন ১৩৭৭ রান। এ সময়ের মাঝে ১১ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরি করা সাকিবের সংগ্রহ ছিল ১২৬০। আর কোনো ব্যাটসম্যানই ১০০০ রানও করতে পারেননি। কিন্তু গত ২৮ জুলাইয়ের পর থেকেই বড্ড বিবর্ণ তামিম। এর আগের তিন বছরে যিনি খেলেছেন ৬২ গড়ে, সেই তামিমই গত এক বছর ধরে রান করছেন প্রায় অর্ধেক মাত্র ৩১ গড়ে। বাংলাদেশ দলের ভালো খেলার জন্য তামিমের ভালো শুরু কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপে তিনি ব্যর্থ থাকার কারণেই খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তেমনি করে চলতি ওয়ানডে সিরিজেও প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফিরে যাওয়ার পর আর ৩১৫ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি টাইগাররা। তাই সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন কবে কাটবে তামিমের শনির দশা। সবার প্রার্থনা আজ (রোববার) সবশেষ সেঞ্চুরির ঠিক এক বছর পর আবারও জ্বলে উঠুক তামিম ইকবাল খানের ব্যাট। এমএ/ ০১:০০/ ২৮ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2YuMJC0
July 28, 2019 at 09:03AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top