লন্ডন, ০৭ জুলাই- এই ম্যাচের মধ্যেই হঠাৎ কাশ্মীর নিয়ে ভারতের উদ্দেশে বার্তা আসল। আর তা দেওয়া হল আকাশপথে উড়তে থাকা বিমানের গায়ে লাগানো ব্যানারের মাধ্যমে! একবার নয়, একাধিক বার বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মাথার উপরে চক্কর কাটতে থাকল সেই বিমান, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ভারতীয় বোর্ড থেকে ফোন করে খুব জোরালোভাবে আইসিসি-কে বলা হয়েছে, এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হতেই হবে। শনিবার হেডিংলেতে ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায়, মাঠের উপরে আকাশে চক্কর কাটছে একটি বিমান। আর তার লেজের দিক থেকে উড়ছে একটি ব্যানার। তাতে লেখা জাস্টিস ফর কাশ্মীর। অর্থাৎ, কাশ্মীর নিয়ে সুবিচার চাই। মাঠের উপরে বেশ কয়েক বার চক্কর কেটে সেই বিমান অদৃশ্য হয়ে যায়। ততক্ষণে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শুরু হয়ে গেছে এবং প্রায় ভর্তি গ্যালারিতে আশি শতাংশ দর্শক ভারতীয়। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সব চেয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দেয়, এ রকম স্পর্শকাতর বার্তা লেখা ব্যানার নিয়ে হেডিংলের ঠিক উপরে বিমানটি উড়ল কীভাবে? মাঠের কাছেই লিডস ব্র্যাডফোর্ড বিমানবন্দর। খেলা চলাকালীন অনেক বিমানই উড়ে গেল মাঠের উপরের আকাশ দিয়ে। সাধারণত, বিমানবন্দরের আশেপাশে কঠোরতম নিরাপত্তা থাকে। তার উপরে বিশ্বকাপের মতো ইভেন্ট বলে বাড়তি নিরাপত্তার বলয় থাকার কথা। সেই নিরাপত্তার বলয়কে ফাঁকি দিয়ে একটি বিমান বারবার কীভাবে ভারতের উদ্দেশে রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে আকাশে ঘুরতে থাকল, সেটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কী করে হেডিংলের আকাশে ঢুকে পড়ল বিমান? ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির জবাব, আমরা অত্যন্ত হতাশ। এর আগে পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের সময়ও এ রকম বার্তা নিয়ে একটি বিমান উড়েছিল। তখনই পুলিশের কাছে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। পশ্চিম ইয়র্কশায়ার পুলিশ তখন আমাদের বলেছিল, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। তারপর আবারও ঘটল একই ঘটনা। আমরা হতাশ। খেলার মধ্যে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট বার্তা বহন করাকে আমরা সমর্থন করছি না। একবার নয়, ভারতীয় সময় রাত নটার মধ্যে (ইংল্যান্ডের সময় সাড়ে চারটে) তিন বার আকাশে চক্কর মারে ওই বিমান। এবং তিন বারই নতুন নতুন বার্তা লেখা উড়তে দেখা যায় বিমানের লেজ থেকে। প্রথমে লেখা ছিল জাস্টিস ফর কাশ্মীর। তখন ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা বেকায়দায়। যাসপ্রিত বুমরারা যখন স্লগ ওভার বোলিং করছেন, তখন বিমানটিকে দ্বিতীয় বার দেখা যায় হেডিংলের আকাশে। এবার আরও সরাসরি, আরও কড়া বার্তা লেখা ভারত, খুনোখুনি বন্ধ করো। কাশ্মীরকে স্বাধীন হতে দাও। এর পর রোহিত শর্মা এবং কে এল রাহুল যখন ভারতকে অনায়াস জয়ের দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন, মোটামুটি ২৩ ওভার নাগাদ বিতর্কিত বিমান ফিরে আসে। এবার ব্যানারে লেখা হেল্প এন্ড মব লিঞ্চিং ইন ইন্ডিয়া। অর্থাৎ ভারতে গণহত্যা বন্ধ করতে সাহায্য করুন। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন আর/০৮:১৪/০৭ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/30k3vox
July 07, 2019 at 06:17AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top