ঢাকা, ৩০ জুলাই - বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ছিলো গড়পরতা। ভালো বলার সুযোগ নেই, খারাপ বলাও যাবে না। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ফেবারিট দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ হারিয়েছে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে। বিশ্বকাপে রানার্স আপ দল নিউজিল্যান্ডকে নাকানি চুবানি খাইয়ে ছেড়েছে টাইগাররা। মুশফিকের ভুলটা না হলে হয়তো হেরেই যেতো কিউইরা। অস্ট্রেলিয়ার রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েও খেই হারায়নি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পরে খুব বেশি সময় পায়নি টাইগাররা। নামতে হয়েছে ক্রিকেট মাঠে।সাকিব, তামিম, মুশফিকদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে এই সিরিজে পরিস্কার ফেবারিট ছিলো। অথচ সেই বাংলাদেশকে একেবারে লজ্জার হারে ক্ষতবিক্ষত করে ছেড়েছে লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কা সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ইতিমধ্যেই তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুঁইয়েছে। সামনে আছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শংকা। দলের এমন অবস্থার মাঝে নতুন করে নেতিবাচক আলোচনায় চলে আসলেন জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। কলম্বোর একটি ক্যাসিনোতে তাকে জুয়া খেলতে দেখা গেছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়েছে। কলম্বো শহরটি এমনিতেই ক্যাসিনোর জন্য বিখ্যাত। এখানে নামকরা সব ক্যাসিনো রয়েছে। গোপনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কলম্বোর জনপ্রিয় একটি জুয়ার আসর বেলিস ক্যাসিনোতে খালেদ মাহমুদ সুজন একজন নারী ওয়েটারের হাত থেকে ব্যাংকের এটিএম অথবা ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করছেন। এরপর তিনি এগিয়ে যান একটি জুয়ার টেবিলের দিকে। যাতে আরও বেশ কয়েকজন মানুষকে দেখা যায়। খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, তিনি খেতে গিয়েছিলেন ক্যাসিনোতে। খেতে কি ক্যাসিনোতেই যেতে হয়? এর আগে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপেও এমন একটি খবরে শিরোনাম হন সুজন। তখনও তিনি ঠিক একই উত্তর দিয়েছিলেন। সাধারণত, বাংলাদেশ দল বা অন্যদল গুলো বিদেশ ট্যুরে গেলে পাঁচ তারকা মানের হোটেলে থাকেন। বিশ্বের প্রতিটি ফাইভ স্টার হোটেলে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট থাকে। শ্রীলঙ্কাতে বাংলাদেশ দল যে হোটেলে আছে সেই হোটেলে কি রেস্টুরেনট নেই? মেনে নিলাম রেস্টুরেন্ট নেই, তাই বলে কি পুরো কলম্বোতে সাধারণ রেস্টুরেন্ট নেই? ক্যাসিনোতেই কি খেতে যেতে হবে? অথচ ২০১৫ বিশ্বকাপে আল আমিনকে ক্যাসিনোতে যাওয়ার অপরাধে বিশ্বকাপের মাঝপথে দেশে ফেরৎ পাঠায় বোর্ড। সেই থেকে দল থেকে এক প্রকার নির্বাসনে জাতীয় দলের সাবেক এই বোলার। অথচ সেই একই সময়ে ক্যাসিনোতে যাওয়ার বিষয়ে সুজনের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা খালেদ মাহমুদ সুজন দলের এই অবস্থায়ও ক্যাসিনোতে খেতে যান কিভাবে? দলের শৃঙ্খলার ব্যাপারে তার তো আলাদা গুরুত্ব থাকার কথা। তিনি তো শুধু কোচ না, জাতীয় দলের ম্যানেজারও। তার এই ক্যাসিনোতে যাওয়ার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে তোলপাড়। নাজমুল হক নামের একজন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, খাওয়া শব্দটি অনেক অর্থ বহন করে। আজকে বেশ খেলাম আর খেয়ে ছেড়ে দিলাম একই অর্থ বহন করে না। তেমনি আমি ক্যাসিনোতে খেতে গেলাম মানে যে, আমি আসলে মাটন বিরানী খেতে গেছি এমন নাও হতে পারে। এলাকায় পোলাপান জুয়া খেলে প্রায়ই বলতো-আজকে করিমের ১২০০ টাকা খেয়ে দিয়েছি। মোর্শেদ নামের একজন লিখেছেন, বাংলাদেশ দল থেকে এত টাকা আয় করে সে ক্যাসিনোতে খেতে গিয়েছিলো। সে টাকা ধরা খেতে গিয়েছিলো আসলে। এমন আরো নানা চমকপ্রদ ও মজাদার সাথে অসম্মানজনক অনেক কমেন্ট করেছে তার বিরুদ্ধে। এত অভিযোগ ওঠার পরও সুজনকে বিসিবি কেন একটি শোকজ ও করে না? কিভাবে একই অভিযোগ বারবার ওঠার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না বিসিবি? কিংবা সুজনের ক্ষমতা কি এতই বেশি যে, বিসিবি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না? এই উত্তর কি পাওয়া যাবে কারো কাছে? সূত্র : পূর্বপশ্চিমবিডি এন এইচ, ৩০ জুলাই.
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Mqs6o8
July 30, 2019 at 11:40AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন