লন্ডন, ০৭ জুলাই- লন্ডন থেকে ম্যানচেস্টারের দূরত্ব সাড়ে তিনশ কিলোমিটার। ভার্জিন ট্রেনে মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ। তবে বাসে ৯ ঘণ্টা লেগে যায়! শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারলে এই ম্যানচেস্টারেই আসতে হতো মাশরাফিদের। কিন্তু গতকাল দেশের পথে উড়াল দিতে হয়েছে টাইগারদের। শেষ ম্যাচেও জয় নিয়ে ফিরতে পারল না বাংলাদেশ। বিদায় বেলায় ক্রিকেটারদের সঙ্গী হয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হতাশার হার। এবার আকাশছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছিল টিম-টাইগার্স। টার্গেট ছিল ন্যূনতম সেমিফাইনালে খেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে দুর্দান্ত শুরুও হয়েছিল। কিন্তু বিদায়টা হলো বিষাদময়। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের ব্যবচ্ছেদ করলে বেশকিছু বিষয় সামনে চলে আসে- একমাত্র সাকিব আল হাসান ছাড়া বাকি সিনিয়র ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতার অভাব, তরুণদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি এবং যাচ্ছেতাই ফিল্ডিং ও বোলিং। ব্যাটিং নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ব্যাটসম্যানরা তাদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিয়েই খেলেছেন। কিন্তু ফিল্ডার ও বোলাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ক্রিকেটে প্রবাদ আছে, ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস! কিন্তু বাংলাদেশ দল এবার প্রতিটি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস করেছে। বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে অনেক রান হয়েছে। বোলাররাও নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারেননি। সে কারণেই সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিতে হয়েছে টাইগারদের। কিন্তু যেখানে ব্যর্থতা সেখানেই তো লুকিয়ে থাকে নতুন সম্ভাবনা! তাই এই বিশ্বকাপের ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে আগামী বিশ্বকাপের জন্য নতুন করে ভাবনা শুরু করতেই পারে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ হবে ভারতে। উপমহাদেশের মাটিতে হবে বলে এখন থেকেই বিশ্বকাপের ভাবনাটা মাথায় রাখা জরুরি। ক্রিকেটার মাশরাফির এটাই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে মাশরাফি যে থাকছেন তা বলাই যায়! বিশ্বকাপের বিদায়ী ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর মাশরাফি বলেন, পরের বিশ্বকাপ হবে ভারতে। আমরা আশা করতেই পারি। তবে আমি তো আর থাকছি না। এটাই যে আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল সেটা আমি আগেই বলেছি। বিশ্বকাপ জিতবোই এমন কথা বলব না। কারণ এটা ভাগ্যের ব্যাপার। তবে এই দলের সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ যাতে সুস্থ থেকে খেলতে পারে সে কামনা করি। পাশাপাশি তরুণ যারা ভালো করেছে তারাও যেন ফর্ম ধরে রেখে ভালো করতে পারে। এবারের আসরে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যেতে না পারার পেছনে বড় কারণ দল হিসেব পারফর্ম করতে না পারা। ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা চিন্তা করলে, এই আসরে সেরা পারফর্মার সাকিব। বল হাতে ১১ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৬০৬ রান। মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেছেন ২০ উইকেট। ব্যক্তিগত উজ্জ্বলতম সাফল্যও যেন ম্লান হয়ে গেছে দলীয় ব্যর্থতার আঁধারে! বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে সবার আগে দরকার দলগত সমন্বয়! দলীয় সাফল্য ছাড়া কি আর বিশ্বকাপ জেতা যায়! সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন আর/০৮:১৪/০৭ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/30bnuFY
July 07, 2019 at 05:58AM
07 Jul 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top