ঢাকা, ২২ জুলাই- বিশ্বকাপটা শেষ হলো মাত্র। টানা দেড় মাসের একটা টুর্নামেন্ট। প্রতিটি দলকেই কমপক্ষে ৯টি করে ম্যাচ খেলতে হয়েছে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে। লম্বা এই টুর্নামেন্টের ধকল কাটিয়ে উঠতেই তো বেশ সময় লেগে যাওয়ার কথা। কিন্তু ক্রিকেটারদের সামনে সেই সুযোগ নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই শুরু হচ্ছে নতুন ব্যস্ততা। এই যেমন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা নতুন একটি সিরিজ খেলার জন্য ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কায়। অ্যাশেজ দিয়ে আগামী মাস থেকেই শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিটি দলেরই সফরসূচি চূড়ান্ত করে নিতে হচ্ছে। এই সফরসূচি অনুসারেই আগামী চার বছর প্রতিটি দেশের ক্রিকেট পরিচালিত হবে। এফটিফি অনুসারে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত সূচি নির্ধারণ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মের কারণে প্রতিটি দেশকেই এই চার বছরের মধ্যে পারস্পরিক সফর বিনিময় করতে হবে অন্তত দুবার। একবার হোম সিরিজ এবং একবার অ্যাওয়ে সিরিজ। সে হিসেবে আগামী বছরের শুরুতেই পাকিস্তান সফর করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) তাদের আগামী চার বছরের সূচি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজ রয়েছে পাকিস্তানের। ওই সফরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সঙ্গে রয়েছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে, ভেন্যু কোথায় সেটা উল্লেখ করেনি পিসিবি। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানে বন্ধ রয়েছে বিদেশী দলগুলোর দেশটিতে সফর করা। পিসিবি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে নিয়মিত করার। সে উদ্দেশ্য সফল করতে নানামুখি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই সেখানে খেলে এসেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এছাড়া জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কাও সফর করে এসেছে পাকিস্তানে। আন্তর্জাতিক একাদশের আদলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া বিশ্ব একাদশও খেলে এসেছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যে দলে ছিলেন বাংলাদেশের তামিম ইকবালও। এছাড়া নিয়মিত পিসিএল আয়োজন করে পিসিবি বোঝাতে চাইছে তাদের দেশে ক্রিকেট এখন নিরাপদ। কিন্তু তাতেও দেশটির ওপর থেকে বাকি বিশ্বের আস্থার সঙ্কট ১০ ভাগও কাটেনি। যে কারণে আরব আমিরাকতে হোম ভেন্যু বানিয়ে খেলতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের হোম সিরিজ তাই অনুষ্ঠিত হতে পারে আরব আমিরাতের মাটিতেও। যদিও বিষয়টা এখনও নির্ধারিত নয়। হয়তো বা দুই বোর্ড একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নেবে, সিরিজের ভেন্যু হবে কোথায়। তবে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যা, তাতে বাংলাদেশ আরব আমিরাতে গিয়েই খেলতে চাইবে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান নাছোড়বান্দা হলে সিরিজটাই অনুষ্ঠিত না হওয়ার হুমকির মুখে পড়তে পারে। এর আগে যেমন পিসিবির একগুঁয়েমির কারণে একটি সিরিজ বাতিল পর্যন্ত করতে হয়েছিল। পিসিবির ঘোষণা করা চার বছরের সূচির মধ্যে বাংলাদেশে তাদের ফিরতি সফর হচ্ছে ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। সেখানেই দুটি টেস্ট এবং ৩টি টি-টোয়েন্টির কথা বলা রয়েছে। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২২ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Gm37OU
July 22, 2019 at 10:51AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন