ঢাকা, ১৫ জুলাই- দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বেশ অবদান রেখেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রনায়ক হওয়া ক্রীড়ানুরাগী এরশাদ ছিলেন একজন ফুটবলার, শৌখিন গলফার এবং সংগঠক। লেফটেন্যান্ট পদে থেকেই সেনাবাহিনীর পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগে যুগান্তরকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এরশাদ বলেন, লেফটেন্যান্ট পদে থেকেই সেনাবাহিনীর পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলাম আমি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রসঙ্গে দেশের অভিজ্ঞ এবং প্রতিথযশা ক্রীড়া সাংবাদিক মুহম্মদ কামরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ১৯৫১-৫২ সালের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রোল বলে রানার্সআপ হয়েছিলেন এরশাদ। এছাড়া ওই প্রতিযোগিতায় হাই জাম্পে ফাস্ট হয়েছিলেন তিনি। ক্রীড়াঙ্গনে এরশাদের অবদান প্রসঙ্গে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে ক্রীড়া সাংবাদিকতা করে যাওয়া এ সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশের টেনিস ফেডারেশন গঠনে অনন্য অবদান রয়েছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। টেনিস ফেডারেশনের বিল্ডিং অফিস তৈরি করে দেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসির) চেয়ারম্যান ছিলেন। তার শাসনামলে বাংলাদেশে প্রথম সাউথ এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সাংবাদিক কামরুজ্জামান আরও বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন (ওমর কৌরিসী একাদশ) দলকে ঢাকায় এনে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেছিলেন। সাংবাদিক কামরুজ্জামান যুগান্তরকে আরও বলেন, এখন যেমন খেলাধুলায় রাজনৈতিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এরশাদের শাসনামলে খেলাধুলায় কোনো রাজনৈতিক প্রভাব ছিল না। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার ও বর্তমান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একজন বড় মাপের লিডার ছিলেন। প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক মঞ্জুরুল হক বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ছিলেন। অবসর সময়ে তিনি টেনিস খেলতেন। টেনিস খেলার প্রতি ওনার অনেক শখ ছিল। প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় টেনিস ফেডারেশনের ভিত্তি প্রস্তরসহ সব কাজ সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। এরশাদের স্মৃতি চারণ করে ইন্ডিপেডেন্ট পত্রিকার এই স্পোর্টস এডিটর আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় একদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী ও রহমতগঞ্জের খেলা চলছিল, তখন আমাকে অফিস থেকে বলা হলো প্রেসিডেন্ট সাহেব আমাদের অফিস ভিজিট করতে আসবেন। তখন আমি মাঠে না গিয়ে অফিসে চলে আসি। বাংলাদেশ টাইমসে আসার পর সম্পাদক সাহেব প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেবকে নিয়ে বিভিন্ন ডেস্ক ঘুরে দেখাচ্ছিলেন। আমার ডেস্কের সামনে যাওয়ার পর সম্পাদক বললেন- ও মঞ্জু, স্পোর্টস রিপোটিং করে। তখন এরশাদ সাহেব বলেন, আমি ওকে চিনি। তখন আমাকে বললেন মাঠে না আবাহনীর খেলা হচ্ছে? তুমি যাওনি। আমি বললাম আপনি আসবেন বলে যাওয়া হয়নি। উনি তখন বললেন, আমি আসব বলে তুমি যাওনি! না ঠিক হয়নি। খেলার মাঠে যাবা। বেশি বেশি নিউজ দিবা। প্রবীণ এই ক্রীড়া সাংবাদিক আরও বলেন, টেনিসে ফেডারেশনের পুরো কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট এরশাদের নামে জুনিয়র একটা টুর্নামেন্ট চালু হয়েছিল, টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে ফেডারেশনে এসে আমি ও কামরুজ্জামান ভাইসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিককে তিনি বলেন, টেনিস নিয়ে বেশি বেশি কাভারেজ দেবে। টেনিসকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এরশাদের শাসনামলে পাকিস্তানের ইমরান খান ও ভারতের আজহার উদ্দিনের নেতৃত্বে এশিয়ার কয়েকটি দল এনে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলেন। সূত্র: যুগান্তর আর/০৮:১৪/১৫ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/32sXaZK
July 15, 2019 at 06:15AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top