শেরপুর, ২৪ আগস্ট - টাইগার কাপ্তান ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা শুক্রবার (২৩ আগস্ট) স্ত্রী ও তার সন্তানদের নিয়ে গৃহপরিচারিকা টুনির গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। টুনির বাড়ি শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের যোগানিয়া কাচারি মসজিদ সংলগ্ন। টুনির বাবা আক্কাছ আলী অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তা কর্মীর চাকরির সুবাদে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ওই পরিচয়ের সুবাদে আজকে থেকে প্রায় ৮ বছর আগে আক্কাছ আলীর মেয়ে টুনিকে তার (মাশরাফি) বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ দেন তিনি। দীর্ঘ ৮ বছরে মাশরাফির স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে টুনির গড়ে উঠেছে নিবিড় সম্পর্ক। পরিবারসহ শুক্রবার সকালে বাসা থেকে বের হন মাশরাফি। আর জুমার নামাজ পথেই আদায় করতে হয় তাকে। নামাজ শেষের আধা ঘণ্টা পর হঠাৎ দুটি গাড়ি নিয়ে টুনিকে নিয়ে তাদের বাড়ি হাজির হন ম্যাশ। টাইগারদের এই সফলতম অধিনায়ক টুনিদের এলাকায় আগমনের পর পরই হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রথমদিকে গোপন থাকলেও নিভৃত পল্লীতে দুটি মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে মাশরাফির আসার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লোকজনের ভিড় সামলাতে মাত্র আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর শেরপুর ত্যাগ করতে হয় মাশরাফিকে। মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দেখতে ছুটে গিয়ে ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মুকছেদুর রহমান লেবুও। তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির আচরণ ও ব্যবহারে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, ভাবা যায়-বাসার কাজের মেয়ে এবং সাবেক নিরাপত্তা কর্মীকে খুশি করতে, তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে তার মতো এমন একজন সেলিব্রেটি এমন অজপাড়াগাঁয়ে সস্ত্রীক এসেছেন। তিনি আরও বলেন, বাসার নিরাপত্তা কর্মীর কাজ থেকে টুনির বাবা আক্কাছ আলী বিদায় নিলেও তার পরিবারের প্রতি মাশরাফির রয়েছে দারুণ মমতা। তিনি আক্কাছ আলীকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন, তাদের মাথা গোজার জন্য গ্রামের বাড়িতে একটি সেমিপাকা ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি টুনির ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখানে না এলে বিষয়টি আমরা জানতেই পারতাম না। সত্যিই ম্যাস দ্যা রিয়েল ক্যাপ্টেন, স্যালুট হিম। সূত্র : বিডি২৪লাইভ এন এইচ, ২৪ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2MClTGA
August 24, 2019 at 10:17AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top