ঢাকা, ১২ আগস্ট- পর্দায় হাজির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দেখে দর্শক হেসে ওঠে। হাসি আর আ খ ম হাসান যেনো সমর্থক শব্দ। দীর্ঘ সময় ধরে সমানতালে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে আসছেন তিনি। তার অভিনয়ের জাদুতে সবসময় মুগ্ধ দর্শক। এবারের ঈদুল আযহা কেমন কাটছে তার? খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করেছেন তিনি। তাই ঈদের কেনাকাটা বা অন্য ভাবনার সময় পাননি। এই অভিনেতা জানালেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটে তার। তবে কোনাকাটার ধারে কাছেও নাকি যান না। কোরবানি হাটেও যাওয়া হয়নি কোনোদিন। আ খ ম হাসান বললেন, ঈদুল আযহা নিয়ে আমার উল্লেখযোগ্য কোনো স্মৃতি নাই। কারণ আমার হাটে যাওয়া হয় না কখনো। পরিবারের অন্যরা অর্থাৎ আমার ছোট ভাইয়েরা খুব আনন্দ নিয়ে এগুলো করে। প্রসঙ্গ পাল্টাতেই হলো। তাহলে ঈদের নাটক প্রসঙ্গে বলেন? হাসান বললেন, এই ঈদ উপলক্ষ্যে প্রায় ৩০টি নাটকে অভিনয় করেছি। ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের জন্য প্রায় ৭-৮টির মতো সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছি। বাকিগুলো সিঙ্গেল নাটক। শামীম জামান, জুয়েল হাসান, ইসতিয়াক মোহাম্মদ রোমেল, বর্ণনাথ, ফরিদুল হাসানসহ আরও বেশকজন নির্মাতা পরিচালনা করেছেন নাটকগুলো। আ খ ম হাসান এই সময়ের নাটক নিয়ে বললেন, অনেক তরুণ নির্মাতারাও ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ করছেন এখন। তাদের মধ্যে অনেকেই বেশ সম্ভাবনাময়ী। আর পরীক্ষিত নির্মাতারা তো আছেনই। সব মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের নাটক। আর যদি নিজের কথা বলি তাহলে বলবো, আমি অভিনেতা হিসেবে সবসময় ভালো কাজটিই বেছে নিই। ইউটিউবের জন্য ও টিভি চ্যানেলের জন্য কাজ করছি। আর এখনতো টিভি চ্যনেলও ইউটিউব নির্ভর হয়ে গেছে। কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। স্বাধীন মতো কাজ করতে পারছি। হাসির নাটকেই আপনাকে বেশি দেখা যায় কেনো? এমন প্রশ্ন করা হলে আ খ ম হাসান বলেন, বিভিন্ন উৎসবে মানুষ হাসির নাটক দেখতেই বেশি পছন্দ করে। যার কারণে হাসির নাটক বেশি হয়। এখন আসলে দুইটা ধারার নাটক বেশি হচ্ছে। হাসির নাটক ও রোমান্টিক নাটক। যেহেতু দর্শক আমাকে হাস্যরসাত্মক নাটকে দেখতে পছন্দ করেন তাই হাসির নাটকে বেশি অভিনয় করা হয়। অনেক সিরিয়াস গল্পের নাটকেও কিন্ত আমি অভিনয় করছি। এরমধ্যে বৌ ভাগ নামের একটি নাটক ৭ মিলিয়ন ভিউ হয়ে গেছে। এটা কিন্ত সিরিয়াস গল্পের নাটক। তবে সচরাচর হাসির নাটকগুলি দর্শকপ্রিয়তা বেশি পায়। হাসির নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে জোর করে হাসানোর কোনো প্রবণতা লক্ষ্য করেন আপনি? এ বিষয়ে আ খ ম হাসান বলেন, সেটা অভিনেতা ও নির্মাতার উপরে নির্ভর করে। এখন ইউটিউবের কল্যাণে ভাদাইম্যাও হচ্ছে। আমি কোনো নাটকে অভিনয় করলে ভালো করে স্ক্রিপ্ট দেখি। সবকিছু পরিমিত করার চেষ্টা করি। প্রয়োজনে স্ক্রিপ্ট পরিবর্তন করি। হাসান খুব গুরুত্ব দিয়ে একটি বিষয় জানালেন, হাসির নাটক হোক কিংবা রোমান্টিক গল্পের নাটক হোক। অভিনয় শিল্পীরা অভিনয় করেন কোনো না কোনো চরিত্রে। সেখানে চরিত্রটি সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে হয়। সেটি যদি কোনো হাস্যরসাত্মক চরিত্র হয় তাহলে মানুষ হাসবে। সেই চরিত্রটিতে ঠিকভাবে অভিনয় করতে না পারলে সেটা ভাঁড়ামো হয়ে যাবে। মানুষকে হাসানো ভীষণ কঠিন। সেই কঠিন কাজটি করতে গিয়ে যেনো ভাঁড়ামো না হয় সেই দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আর/০৮:১৪/১২ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2H1Y8mL
August 12, 2019 at 05:47AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন