নয়া দিল্লী, ১০ আগস্ট- জোর গুঞ্জন, ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সহঅধিনায়ক রোহিত শর্মার মধ্যে সম্পর্কটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না! যদিও প্রকাশ্যে তা কেউই স্বীকার করেননি। তবে তাদের মধ্যে যে ঝামেলা চলছে তা আঁচ করেছেন দলটির কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার। এমনকি দুজনের মধ্যে কে প্যাঁচ লাগিয়েছে, তাও আন্দাজ করেছেন তিনি। গাভাস্কার মনে করেন, যাহোক না কেন, কোহলি-রোহিতের মধ্যে মনোমালিন্য ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য মঙ্গলজনক কিছু নয়। তার ধারণা, দলের মূল দুই ক্রিকেটারের মধ্যে প্যাঁচ লাগিয়ে মাঝখান থেকে ফায়দা লুটছে তৃতীয় কেউ। খেলোয়াড়ি জীবনে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবের সঙ্গে গাভাস্কারের দ্বন্দ্ব ছিল। তাদের সময়ে প্রতিনিয়ত এ খবর ভেসে বেড়াতো। এ কথা ক্রিকেটপ্রেমীদের অজানা নয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই গাভাস্কার বুঝতে পারছেন, এখানে ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করছে অন্য কেউ। মূলত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ভারত ছিটকে পড়ার পর কোহলি-রোহিতের দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় দুই ক্রিকেটারের স্ত্রীদের কথাবার্তা তা আরো উস্কে দেয়। গাভাস্কার এ দ্বন্দ্বের পেছনে হাঁড়ির খবর ফাঁস করেছেন। তিনি স্বীয় অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, দুই অধিনায়কের মধ্যে ঝামেলা পাকাচ্ছেন ড্রেসিংরুমের কেউ। সুনিলের মতে, দলে ঢুকতে না পেরে কিংবা কম সুযোগ পেয়ে হতাশায় মগ্ন কোনো ক্রিকেটার এমন গুজব রটাচ্ছে। যে এটা করছে, সে দলের কল্যাণ চায় না। এমনটা চলতে থাকলে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হবে। নাটের গুরু হবে সে-ই। গাভাস্কার জানান, ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ভারত ও ইংল্যান্ড টেস্ট থেকে কপিলকে বাদ দেয়া হয়। ওই সময় অনেকে আমাকে দোষারোপ করেন। অথচ সিদ্ধান্তটি ছিল তখনকার নির্বাচক কমিটির সদস্য হানুমন্ত সিংয়ের একান্ত। তিনি মনে করেন, কপিলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের ওই গুঞ্জন ২০ বছর পরেও থামেনি। তবে কোহলি ও রোহিত খুবই পেশাদার ক্রিকেটার। তার আশা, এ কারণে শিগগির একযোগে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেবে তারা। আগত ঝামেলা কাটিয়ে দেশকে একসঙ্গে আরও ম্যাচ জেতাবে। সূত্র: যুগান্তর আর/০৮:১৪/১০ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ZODKgf
August 10, 2019 at 06:00AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন