রোনালদোর ৭, শচীনের ১০ কিংবা লেব্রোন জেমসের ২৩। নিজেদের জার্সি নাম্বারটাকে আইকনিক নাম্বারে প্রতিষ্ঠিত করা খেলোয়াড়ের সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। কিছু কিছু খেলোয়াড় তো সংখ্যাগুলোকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন যেন সংখ্যাটার সৃষ্টিই হয়েছে তাঁর জন্য। ফুটবলারদের জার্সি নম্বর বুঝিয়ে দেয়, কে কোন পজিশনের খেলোয়াড়। ক্রিকেটে অবশ্য এমন কিছু বোঝার উপায় নেই। এখানে জার্সি নম্বরের অন্য তাৎপর্য, যা একসময় নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের সমার্থক হয়ে যায়। বাংলাদেশে ২ নম্বর জার্সি বললেই যেমন চোখে ভেসে ওঠেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর সাকিব আল হাসান তো নিজের নামের ব্র্যান্ডটি দাঁড় করিয়েছেন ৭৫ নামেই। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময় থেকে ক্রিকেটারদের জার্সিতে নম্বরের প্রচলন শুরু হয়। তখন প্রতিটি দলের অধিনায়কদের ১ নম্বর ও ২-১৫ পর্যন্ত হতো বাকি ক্রিকেটারদের জার্সি নম্বর। প্রথম থেকেই এ পদ্ধতি থেকে একটু ব্যতিক্রম ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তৎকালীন অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ের জার্সি নম্বর ছিল ৫। আর ১ নম্বর জার্সিটির মালিক ছিলেন কার্স্টেন। আর এখন তো ক্রিকেটাররা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী জার্সি পড়ে থাকেন। বাংলাদেশের বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৭৫ নম্বর জার্সি পরেন। এর পেছনে কিন্তু একটি রহস্য রয়েছে। তিনি যখন বিকেএসপিতে ছিলেন তখন তার ক্যাডেট নম্বর ছিল ক্রিকেট ২৭৫। সেই থেকেই তার জার্সি নম্বর ৭৫। জাতীয় দল, ঘরোয়া ক্রিকেট, আইপিএল, বিগ ব্যাশসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে ৭৫ নম্বর জার্সি গায়ে চাপান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এক সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেছেন, যখন জার্সিটা দেওয়া হয়, তেমন কোনো বিশেষ কারণ ছিল না। কিন্তু এখন তো এটা স্পেশাল। বোর্ড থেকে দিয়েছিল। এখন চাইলে পরিবর্তন করা যায়, কিন্তু করি না। এন এ/ ২৫ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Nw4v5M
August 25, 2019 at 08:44AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন