ঢাকা, ০৬ আগস্ট - যেহেতু আগের সব কথাবার্তা ও চুক্তি সব বাতিল। তাই এখন নতুন করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চার বছরের চুক্তি করতে হবে। সেখানেই বাইলজ, প্লেয়িং কন্ডিশনসহ সব খুঁটিনাটি বিষয় জানিয়ে দেয়ার পর ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানো যাবে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এমন ঘোষণার পর এখন আর কেউ কারো নয়। সাকিব আল হাসানেরর ঢাকা ডায়নামাইটস ছেড়ে রংপুর রাইডার্সে যোগ দেয়া, চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মায়া কাটিয়ে তামিমের খুলনা টাইটানসের হয়ে নাম লেখানো আর মুশফিকুর রহিমের চিটাগাং ভাইকিংস থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হওয়া- সবকিছুই বাদ। বিসিবি তথা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণায় রংপুর রাইডার্সসহ কোনো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নাখোশ হলেও শেষ কথা হলো, এখন সব কিছুই করতে হবে নতুন করে। আইকন বা এ + ক্যাটাগরির ক্রিকেটার দলে ভেড়ানো, বিদেশি কোটা পূরণ এবং আগেরবার খেলা কতজনকে রেখে দেয়া যাবে- এসব খুটিনাটি বিষয় নতুন করে দল নিবন্ধনের পর সব দলকে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে চরম সত্য হলো, এখন দল গোছানো প্রক্রিয়া একদম নতুনভাবে শুরু হবে। তাতে করে এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার দলে ভেড়ানো, ফরেন রিক্রুট ও প্লেয়ার্স রিটেইন করা- সবই হবে নতুন ভাবে। কাজেই এখন আর বলা যাবে না যে অমুক খেলোয়াড় অমুক দলে। আসলে কোন ক্রিকেটার যে কার? কোন তারকা ও এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার কোন দলে নাম লেখাচ্ছেন? তা জানতে দল নিবন্ধন তথা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বোর্ডের নতুনভাবে চুক্তি এবং বাইলজ ও প্লেয়িং কন্ডিশন দেয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতেই হবে। তারপরও কোন তারকা কোন দলে নাম লেখাচ্ছেন? তা জানতে ক্রিকেট পাড়ায় রাজ্যের কৌতূহল। একটি প্রশ্ন অনেকের মুখেই উচ্চারিত হচ্ছে। আচ্ছা যাকে নিয়ে এত হৈচৈ সেই সাকিব আল হাসান কি তাহলে ঢাকা ডায়নামাইটসেই থেকে যাবেন? নতুন আসরেও পুরনো দলেই দেখা যাবে? ঢাকার সিইও ওবায়েদ নিজাম আর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন কেউই এ আলোচিত ইস্যুতে কোনরকম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে নারাজ। ঢাকার প্রধান নির্বাহী ওবায়েদ নিজাম ও প্রশিক্ষক খালেদ মাহমুদ সুজন দুজনই বলেন, দেখুন এটা নীতি নির্ধারকদের ব্যাপার। সাকিবকে রাখা হবে নাকি আমরা নতুন কাউকে এ+ ক্যাটাগরিতে নেব- সে সিদ্ধান্ত নেবেন মালিকপক্ষ। তারাই বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। তারা চাইলে রাখবেন। আর যদি তাদের অন্য পছন্দ থাকে, তাহলে তাই। ওবায়েদ নিজাম আর খালেদ মাহমুদ সুজন এর বাইরে আর কিছু বলতে না চাইলেও একদম ভেতরের খবর, এখন আবার নতুন করে সাকিবকে রেখে দেবার সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হলেও ঢাকার মালিক পক্ষ সম্ভবত সাকিবকে দলে রাখতে নারাজ। প্রথম কথা, সাকিব দল ছেড়ে রংপুরে যাওয়ার পর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নেয়া সিদ্ধান্তটি ঢাকার বিপক্ষে গেছে। বোর্ডপ্রধান ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি বেক্সিমকোর অন্যতম কর্তাব্যক্তি। তাই ভাবা হচ্ছে ঢাকার চাপেই বুঝি সব চুক্তি বাতিল করে নতুনভাবে সব কিছু করার কথা বলা হয়েছে। এতে করে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিরা খানিক বিব্রতও। তাই ভেতরের খবর, সাকিবকে দলে রাখার সুযোগ আসলেও ঢাকার মালিক পক্ষ নাকি সাকিবকে রাখার বিপক্ষে। অবশ্য সেটা যে শুধু ঐ কারণে, তা নয়। এর সাথে আগের দুইবারের ফাইনালে গিয়ে শেষ হাসি হাসতে না পারার বিষয়টিও আছে। বলার অপেক্ষো রাখে না সর্বশেষ দুই ফাইনালে পারেনি ঢাকা। যথাক্রমে রংপুর ও কুমিল্লার কাছে হেরেছে। দুইবারই অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। তার পারফরমেন্স, দল পরিচালনায়ও নাকি ঢাকার মালিক পক্ষ খানিক অসন্তুষ্ট। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। কাজেই সবকিছু নতুন ভাবে হলেও সাকিবের ঢাকায় ফেরা বা আবার পুরনো শিবিরে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। একটি সূত্রের দাবি সাকিবের এ বার ঢাকায় থেকে যাবার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়! সূত্র জানিয়েছে, তামিম ও মুশফিকের পুরনো ঘর ছেড়ে নতুন ঘরে যোগদান প্রক্রিয়াটি হয়ত অপরিবর্তিতই থাকবে। তামিমের কুমিল্লা ছেড়ে খুলনায় যোগদান আর চিটাগাই ভাইকিংস বাদ দিয়ে মুশফিকের কুমিল্লায় যাওয়া নিয়ে তেমন কোন গুঞ্জন নেই। ঐ দুটি যোগদান প্রক্রিয়ায় রদবদলের সম্ভাবনাও খুব কম। এখন দেখার বিষয় মাশরাফি বিন মর্তুজা আর মাহমুদউল্লাহ কোথায় খেলেন? পঞ্চ পান্ডবের এ দুজনার ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আগ্রহ তুলনামূলক কম বলেই শোনা যাচ্ছে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৬ আগস্ট.



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2KiTwe5
August 06, 2019 at 12:20PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top