নিজেদের মাটিতে যে কোনো দলই শক্তিশালী। হোম অ্যাডভান্টেজসহ পরিচিত দর্শকদের সামনে খেললে যে কোনো দলই উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখালো উল্টো চিত্র। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এবার ওয়ানডে সিরিজও খোয়ালো তারা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে জ্বলে উঠেছিলেন গেইল। ব্যাটিং তাণ্ডবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিলেন বিধ্বংসী শুরু। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়ল চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু বিরাট কোহলি যখন দাঁড়িয়ে যান তখন যে কোনো বাধাই বাধা নয়। অধিনায়কের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে টানা দুই জয়ে ভারত জিতে নিল সিরিজ। তৃতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল খানিকটা খেলা হওয়ার পর। ত্রিনিদাদে বুধবার গেইল খেলেছেন ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস। ২২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৮ রান তোলার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে লম্বা সময়। পরের ম্যাচ নেমে আসে ৩৫ ওভারে। ক্যারিবিয়ানরা তোলে ৭ উইকেটে ২৪০ রান। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫ ওভারে ২৫৫। কঠিন লক্ষ্যে ভারত পৌঁছে যায় ১৫ বল বাকি রেখেই। ৪৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ৯৯ বলে ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি তার নবম সেঞ্চুরি। ছুঁয়েছেন শচিন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। কোনো এক দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড এতদিন এককভাবে ছিল টেন্ডুলকারের, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন ৯ সেঞ্চুরি। এদিকে আগে ব্যাট করা ক্যারিবিয়দের প্রথম ৪ ওভারে রান ছিল ১৩। পরের ৬ ওভারে আসে ১০১! ১০ ওভারে ১১৪ রান, ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে আগে ব্যাট করা কোনো দলের সর্বোচ্চ। টর্নেডো গতিতে শুরুর পর দুজন ফেরেন পরপর দুই ওভারে। ২৯ বলে ৪৩ রান করা লুইস আউট হন লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে। পরের ওভারে গেইল ফেরেন বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদের বলে কোহলির ক্যাচে। ৮ চারের পাশে তার ইনিংসে ছক্কা ছিল ৫টি। জোড়া উইকেটের পর কমে যায় রানের গতি। তিনে নেমে ২৪ রান করতে শেই হোপ খেলেন ৫২ বল। বৃষ্টির পর একটু মন্থর হয়ে আসা আউটফিল্ডও ভুগিয়েছে স্বাগতিকদের। পরে নিকোলাস পুরানের ১৬ বলে ৩০ ও শেষ দিকে একটি করে চার ও ছক্কায় কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ১৬ রানে ক্যারিবিয়ানরা যেতে পারে ২৪০ পর্যন্ত। ভারতের চ্যালেঞ্জ ছিল ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে সাত করে রান তোলার। শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা রোহিত শর্মার রান আউটে। দ্বিতীয় উইকেটে শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে কোহলি গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে ধাওয়ান আউট হন ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের বলে। বাঁহাতি স্পিনারের ওই ওভারেই ফেরেন রিশাভ পান্থ। মিড অফে ক্যাচ দেন নিজের প্রথম বলেই বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে। দ্রুত দুই উইকেটের পরও ম্যাচ জিততে খুব বেগ পেতে হয়নি ভারতকে। কোহলির সঙ্গে আবারও দুর্দান্ত জুটি গড়েন শ্রেয়াস আইয়ার। টানা দুই ম্যাচে দুজন গড়লেন ম্যাচ জেতানো শতরানের জুটি। দেড় বছর পর দলে ফিরে ভারতের মিডল অর্ডারে জায়গা পাকা করার পথে আরেকটু এগিয়ে গেছেন শ্রেয়াস। পাঁচে নেমে আগের ম্যাচে করেছিলেন ৬৮ বলে ৭১। এবার পরিস্থিতির দাবি ছিল আরও দ্রুত রান তোলা, শ্রেয়াস করেছেন ৫ ছক্কায় ৪১ বলে ৬৫। দুর্দান্ত সব শটে কোহলির ওপর চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেন শ্রেয়াস। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১২০ রানের জুটিতেই জয়ের কাছে পৌঁছে যায় ভারত। এনইউ / ১৫ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2N53hOU
August 15, 2019 at 08:07AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন