এই মৌসুমে কোথায় যাবেন নেইমার? বার্সা-রিয়াল নাকি জুভেন্টাস। পিএসজি যে ছাড়বেন তিনি এটা শতভাগ কনফার্ম। কারণ, বহু আগেই স্প্যানিশ ক্লাবের প্রতি মন উঠে গেছে তার। যে কারণে নতুন মৌসুমের আগে যে কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নেইমার যেখানেই যান না কেন, তার বদলের অঙ্কটা সব মিলিয়ে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি থাকবে। তবু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়ানো সম্ভব হবে না তার পক্ষে। কারণ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ধারণা, এই যুগে তাকে কিনতে চাইলে দলগুলোকে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হবে। নেইমারের জন্য ২২২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে দলবদলের বাজারে যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে পিএসজি, তারপর তরুণ রোনালদোর জন্য এমন অর্থই খরচ করা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন পর্তুগিজ তারকা। ২০০৯ সালে দল বদলের বিশ্ব রেকর্ড ৯৪ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়ালে গিয়েছিলেন রোনালদো। গত মৌসুমেই সে অঙ্ককে ছাড়িয়েছেন। জুভেন্টাসের কাছে শর্তসাপেক্ষে ১১৭ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়াল মাদ্রিদ রোনালদোকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যদি ভিন্ন হতো রোনালদোকে এত সহজে পেত না জুভেন্টাস। পর্তুগিজ টিভিআইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারেই সেটা পরিষ্কার করে বলেছেন রোনালদো। বর্তমান বাজারে রোনালদোকে নিজের মূল্য জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। যে উত্তর দিয়েছেন রোনালদো, তাতে পরিষ্কার, এ নিয়ে বেশ ভালোই ভেবেছেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ফুটবলার, বর্তমানের ফুটবলের ওপর ভিত্তি করে? কাজটা বেশ কঠিন। এখন প্রতিশ্রুতির ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফুটবলই অনেক বদলে গেছে। আমি জোয়াও ফেলিক্সের দলবদলটা এক পাশে রাখতে চাই (এ মৌসুমে ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গারকে ১২৬ মিলিয়নে দলে নিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)। ইদানীং যেকোনো খেলোয়াড়ের দামই ১০০ মিলিয়ন, এমনকি যে কিছুই করেনি। ফুটবলে এখন অনেক অর্থ। নিজের বাজারমূল্য ঠিক করতে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বেশ কিছু দলবদলের উদাহরণ টেনেছেন রোনালদো, একজন গোলরক্ষক, সেন্টার ব্যাকের দাম এখন ৭০ বা ৮০ মিলিয়ন ইউরো, যা আমি মানতেই পারি না। কিন্তু এমন এক বিশ্বেই আমরা এখন বাস করছি, বাজারটাই এমন এবং সেটাকে সম্মান করতেই হবে। এমন কোনো খেলোয়াড় আছে, যার আমার চেয়ে বেশি রেকর্ড? আমার তো মনে হয় না বেশি রেকর্ড করা কেউ আছে। একজন গোলরক্ষকের দাম যদি ৭৫ মিলিয়ন ইউরো হয়, তাহলে ২৫ বছরের আমি যে গত কয়েক বছরে যা করেছি, তাতে আমার দাম তো তিন বা চার গুণ হওয়া উচিত। তবে এখন আর এসব নিয়ে আগ্রহ নেই। ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়নে বিক্রি হওয়া নেইমার পিএসজিতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত কোনো সাফল্যই পাননি। ব্যালন ডিঅরের শীর্ষ দশ থেকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাদ পড়েছেন। তবু তাকে দলে পাওয়ার জন্য আবারও লড়াইয়ে নেমেছে দলগুলো। সেটাও বেশ আগের দলবদলের কাছাকাছি মূল্যেই। নেইমারের ক্যারিয়ারের অর্জনের সঙ্গে তুলনা টানলে অবশ্য রোনালদোর নিজের বেঁধে দেওয়া অঙ্কটাও কম মনে হতে পারে। এন এইচ, ২২ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NqMF3Z
August 22, 2019 at 11:31AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন