ইসলামাবাদ, ০৭ আগস্ট- ১৬ বছর আগের বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের ক্ষত এখনও শুকায়নি পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের। তৎকালীন পাক অধিনায়ক ওয়াকার ইউনুসের দুর্বল নেতৃত্বের জন্য সেবার হার মানতে হয়েছিল বলে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানান রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। ম্যাচের আগের দিন বাঁ পায়ের হাঁটুতে চার-পাঁচটা ইনজেকশন নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। খবরের ভেতরের এই খবরও ফাঁস করেছেন শোয়েব। খবর এনডিটিভির। সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত পাক-ভারত ম্যাচে ২৭৩ রান করেও টিম ইন্ডিয়াকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। অথচ পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ সেবার দুরন্ত ছিল। ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেন, ২০০৩ বিশ্বকাপের পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ ছিল আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক ম্যাচ। আমরা ২৭৩ রান করেও ওইদিন ভারতকে থামাতে পারিনি। ম্যাচের আগেরদিন রাতে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস ব্যথা কমার চার-পাঁচটি ইনজেকশন নিয়েছিলেন বাঁ হাঁটুতে। শোয়েব বলেন, ইনজেকশনের জন্য বাঁ পায়ের হাঁটুতে পানি জমে গিয়েছিল। আমার হাঁটুতে কোনো অনুভূতিই ছিল না। পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শেষে ড্রেসিংরুমের কথাও জানিয়েছেন শোয়েব। তিনি বলেন, আমাদের ইনিংসের শেষে দলের সতীর্থদের বলেছিলাম, আমরা ৩০-৪০ রান কম করেছি। আমার কথা শুনে দলের বাকিরা চেঁচিয়ে উঠেছিল। সবাই বলেছিল, ২৭৩ রানও যদি জেতার জন্য যথেষ্ট না হয়, তা হলে কত রান দরকার। অনেকেই বলেছিল, আমরা ভারতকে আউট করে দিতে পারব। আমি জানতাম পিচ ব্যাটিংসহায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পাবে। ব্যাট করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ঝড় তোলেন। শোয়েবকে আপারকাটে মাস্টার ব্লাস্টার-এর হাঁকানো ছক্কা স্মরণীয় হয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে। শোয়েব বলেন, আমরা যখন বল করতে নামি, তখন আমি ঠিকমতো দৌড়াতে পারছিলাম না। শচীন আর সেহওয়াগ শুরু থেকেই মারছিল। পয়েন্টের উপর দিয়ে আমাকে ছক্কাও মারে।শোয়েব মার খাচ্ছেন দেখে অধিনায়ক ওয়াকার ইউনুস তাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন। পরে আবার তাকে আক্রমণে আনেন ওয়াকার। তখন অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওয়াকার যখন পরে আক্রমণে আনেন শোয়েবকে, তখন শর্ট বল করছিলেন তিনি। এরকমই একটা দুরন্ত গতির শর্ট বল থেকে শচীন ব্যাট সরাতে না পেরে আউট হন। শোয়েব বলেন, দুর্বল নেতৃত্বের জন্য ম্যাচটা হারতে হয়েছিল। সূত্র: যুগান্তর আর/০৮:১৪/০৬ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Kv21ld
August 07, 2019 at 05:37AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top