কলকাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর - আসামে সদ্য সমাপ্ত নাগরিক তালিকার বরাবরই বিরোধিতা করে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করার অনুমতি দেবেন না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। পাল্টা বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চালু করার হুমকি দেয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এরপর বিজেপির সরকারের সে হুমকির প্রতিবাদে রাজপথে নামেন মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলকাতার সিঁথি থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এনআরসি ইস্যুতে মমতার এই পদক্ষেপকে মোটেই ভালোভাবে নেননি বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং। মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশিদের স্থান করে দিতে মমতা এনআরসির বিরোধিতা করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিজেপির এই নেতা মমতাকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকদের বলেন, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি প্রয়োগ করা হবে। তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বাংলাদেশিদের ধরে রাখতে চান তবে তার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। মমতার খারাপ দিন ঘনিয়ে আসছে জানিয়ে সুরেন্দ্র সিং আরও কটাক্ষ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে রাজনীতি করতে চান তবে তার বাংলাদেশেই চলে যাওয়া উচিত। তার কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেই ভালো হবে। এমন সব মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হননি সুরেন্দ্র সিং। তিনি হুশিয়ারি দেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি প্রয়োগ করা হবে তা নিশ্চিত। চূড়ান্ত তালিকার পর পশ্চিমবঙ্গে যারা ভারতের নাগরিক হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করবেন না তাদের সম্মানজনকভাবে ভারত ছাড়তে হবে। তিনি যোগ করেন, মমতা শত বাঁধা দিলেও পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি কার্যকর করা হবে এবং সব বাংলাদেশির হাতে দুটি খাবাবের প্যাকেট ধরিয়ে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এ সময় হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের থেকে উদাহরণ টেনে আনেন সুরেন্দ্র সিং। তিনি বলেন, লঙ্কার মানুষ হনুমানজিকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। তবুও তিনি সেখানে প্রবেশ করেছিলেন এবং লঙ্কা জয় করেছিলেন। একইভাবে যোগী আদিত্যনাথ এবং অমিত শাহও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছেন এবং অনেকগুলো আসন জয় করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই লঙ্কার রাবণ। সেখানে রাম (বিজেপি সরকার) পা রেখেছেন। শিগগিরই পুরো পশ্চিমবঙ্গ জয় করবে বিজেপি। সূত্র: এনডিটিভি এন এ/ ১৫ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/30kpo6S
September 15, 2019 at 08:06AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top