চট্টগ্রাম, ০৫ সেপ্টেম্বর- তাইজুল ইসলামকে দিয়ে ইনিংস সূচনা করিয়ে, দ্বিতীয় ওভারে হাত ঘুরিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই। তবে করেননি এক ওভারের বেশি। অনুজ বাঁ-হাতিকে মিডিয়া প্রান্তে বহাল রেখে, প্যাভিলিয়ন প্রান্তে নিয়ে আসেন ডানহাতি অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে। মিরাজ-তাইজুলকে দিয়ে ১১তম ওভার পর্যন্ত করিয়ে আক্রমণে আনেন আরেক অফস্পিনার নাঈম হাসানকে। এরপর সাকিব নিজেই দ্বিতীয় স্পেলে আসেন ১৮তম ওভারে। তখনও মিডিয়া প্রান্ত থেকে বোলিং করে যাচ্ছেন তাইজুল। যাকে বিশ্রাম দেয়া হয় টানা ১৩ ওভার করার পরে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ দিয়ে ইনিংসের ৩৩তম ওভারে ডেকে নেয়া হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। যিনি এক ওভার শেষ করার আগেই ডাকা হয় লাঞ্চ। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুই বাঁহাতি অর্থোডক্স ও তিন ডানহাতি অফস্পিনেই শেষ হয়েছে প্রথম সেশন। যেখানে নৈতিক জয়টা বলা চলে বাংলাদেশেরই হয়েছে। কেননা মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৩২.৪ ওভার খেলে মাত্র ৭৭ রান তুলতেই ৩ টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে আফগানরা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ সতর্ক ও সাবধানী করেছিল সফরকারীরা। ইনিংস তথা ম্যাচের প্রথম বাউন্ডারির জন্য তারা অপেক্ষা করে দশম ওভার পর্যন্ত। তবে দ্বাদশ ওভারে বাংলাদেশের অপেক্ষার অবসান ঘটান তাইজুল। আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে সরাসরি বোল্ড করে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের এ মাইলফলকে পৌঁছান বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি স্পিনার। ইনিংসের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজুলের করা বলের লাইন মিস করে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান ইব্রাহিম, বনে যান তাইজুলের শততম শিকার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষে ১০০ উইকেটে দ্রুততম বোলার হয়ে যান তাইজুল। উইকেটের এ সেঞ্চুরি করতে তার প্রয়োজন পড়ল ২৫টি টেস্ট ম্যাচের ৪৪টি ইনিংস। তার আগে বাংলাদেশের পক্ষে ১০০র বেশি উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে সাকিব ২৮ ও রফিক খেলেছিলেন ৩৩টি ম্যাচ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটও আসে তাইজুলের হাত ধরেই। দ্বিতীয় উইকেটে রানের গতি বাড়িয়েছিলেন তিনে নামা রহমত শাহ। আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান খেলে যাচ্ছিলেন টেস্ট মেজাজে। দুজনের জুটিতে দলীয় পঞ্চাশের দিকে ছুটছিল আফগানরা। কিন্তু ২৫তম ওভারে আর মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি ডানহাতি এ ওপেনার। উইকেট ছেড়ে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েছেন লংঅফে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। ৪৮ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৬৯ বল খেলে ৩ চারের মারে ২১ রান করেছেন ইব্রাহিম। শুরুর ধীর গতির ব্যাটিং পাশ কাটিয়ে তৃতীয় উইকেটে সাবলীলভাবে খেলতে শুরু করেছিলেন রহমত শাহ এবং হাশমতউল্লাহ শহিদি। মেহেদী মিরাজ, নাঈম হাসানদের বাজে বলগুলোকে সপাটে পাঠাচ্ছিলেন বাউন্ডারির বাইরে। ঠিক তখনই তুরুপের তাসটা খেলেন অধিনায়ক সাকিব। মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে তিনি ডেকে নেন দলের অভিজ্ঞতম খেলোয়াড় ও ডানহাতি অফস্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। যিনি একদমই হতাশ করেননি অধিনায়ককে। নিজের চতুর্থ বলেই সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন চার নম্বরে নামা হাশমতউল্লাহকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেলো আফগানিস্তান। উইকেটে ৩১ রান নিয়ে রয়েছেন কেবল রহমত শাহ। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/০৫ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2MVHnhA
September 05, 2019 at 09:17AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন