কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর- পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সবচেয়ে কষ্টে রয়েছেন দুটি সরকারি বিভাগকে নিয়ে। একটি হচ্ছে পুলিশ। আর একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর এই দুটিরই ইনচার্জ হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে একথা বললেন দুর্গাপুর-পূর্বের বিজেপির সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশও করেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণের দিনে দলীয় পতাকা টাঙানোর সময় খুন হয়েছিলেন পাণ্ডুগ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা সুশীল মণ্ডল(৫৩)। বাড়ির কাছেই প্রকাশ্যে ভোজালির কোপ মেরে তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন স্থানীয় সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি নিহত কর্মীর পরিবারকে দলের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত সুশীল মণ্ডলের স্ত্রী অপর্ণা মণ্ডলকে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে দলের তরফে সাহায্যের টাকা। গত ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। সেই উপলক্ষে বাড়ির সামনে দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন সুশীলবাবু। আচমকা তিনজন তৃণমূল কর্মী সুশীল মণ্ডলের ওপর চড়াও হয়। ভোজালির কোপ মেরে সুশীলবাবুকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। নিহতের স্ত্রী তিনজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, গত ২৩ মে ভোটের ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, রাজ্যজুড়ে শাসকদলের সন্ত্রাস এখনও থামেনি। আমাদের কর্মকর্তারা যেখানেই জয় শ্রীরাম আওয়াজ তুলেছেন সেখানেই শাসকদল তাঁদের ওপর অত্যাচার করেছে। তারই উদাহরণ পাণ্ডুগ্রামের সুশীল মণ্ডলের খুনের ঘটনা। কিন্তু. পুলিশ খুনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না। কারণ যারা হত্যা করেছে তারাই তো পুলিশকে পরিচালনা করছে। পুলিশ শাসকদলের ক্যাডার হয়ে কাজ করছে। আমরা যদি ক্ষমতায় আসি তাহলে এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। খুঁজে খুঁজে বের করে সমস্ত ঘটনার তদন্ত হবে। এন কে / ২০ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Ay9OKw
September 20, 2019 at 05:25AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top