ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর- বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে যদি কেন উইলিয়ামসনের সেই রান আউটটা মিস না করতেন মুশফিকুর রহীম, তাহলে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসটা হয়তো ভিন্নভাবে লিখতে হতো। কিন্তু তামিমের থ্রোতে মুশফিকুর রহীম যেভাবে বাচ্চাসূলভ ভুলটা করেছিলেন, তাতেই বাংলাদেশের ভবিতব্য লেখা হয়ে গিয়েছিল। যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি টাইগাররা। বরং, ধীরে ধীরে তলানীতেই নেমেছে। উইকেটের পেছনে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ উইকেরক্ষক হচ্ছেন মুশফিকুর রহীম। অভিষেকের পর থেকে খুব কম ম্যাচই তিনি উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি। এখনও শত প্রতিকুলতা সত্ত্বেও গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়ান মুশফিক। কিন্তু শুধু সেই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই নয়, তার একের পর এক ভুল কেবলই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে যাচ্ছে। রোববার রাতে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়িয়েছিলেন মুশফিক। অথচ, দলে তার চেয়েও ভালো উইকেটরক্ষক (লিটন দাস) ছিলেন। তবুও গ্লাভসটা পরলেন মুশফিকই। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ভুলে অনেকগুলো রান যোগ হলো আফগানদের ইনিংসে। মোট ১৮ রান। এর মধ্যে দুটি বাউন্ডারি হলো উইকেটরক্ষক মুশফিকের ভুলে। একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, ২০ ওভারের খেলা। সেখানে যদি উইকেটরক্ষকের ভুলে দুটি বাউন্ডারি হয়ে যায়, তাহলে সেটা সত্যিই ক্ষমার অযোগ্য। আফগান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন সাকিব আল হাসান। তার করা প্রথম বল মিস করেন আফগান ব্যাটসম্যান নাজিব তারাকাই। বলটি স্ট্যাম্প মিস করে। সেই বলটি মিস করেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমও। বাই থেকে হলো ৪ রান। সাকিবের করা পরের ওভারের শেষ বলে আবারও পূনরাবৃত্তি হলো। এবার ব্যাটসম্যান ছিলেন আসগর আফগান। সাকিবের বল বুঝতে পারেননি আসগর। কিন্তু মুশফিকও বল গ্লাভস বন্দী করতে পারলেন না। আবারও বাই থেকে হলো বাউন্ডারি, ৪ রান। এরপর মোস্তাফিজের এক ওভারেও একটি বাউন্সার ব্যাটসম্যানের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। বলটি শেষে চলে যায় মুশফিকের দুই পায়ের ফাঁক গলে। এলো অতিরিক্ত রান। স্ট্যাম্পিং মিস করা কিংবা রান আউট মিস করাও ছিল নিয়মিত ঘটনা। এভাবে একজন উইকেটরক্ষক যদি এভাবে ভুল করে যান, তাহলে বাংলাদেশ দলের শেষ পর্যন্ত কি অবস্থা দাঁড়াবে? হারই করুণ পরিণতি। সেটাই হলো শেষ পর্যন্ত। ২৫ রানে আফগানদের হেরেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ইনিংস ওপেন করতে নেমে অহেতুক রিভার্স সুইপ খেলতে নেমে দলকে বিপদে ফেলে ফিরে যান তিনি। মুশফিকের উইকেটকিপিং নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা বেশ আগে থেকেই। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থাকাকালে তো মুশফিককে কিপিংয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু মুশফিক ওই সময় এ নিয়ে নিজো অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং হাথুরু চলে যাওয়ার পর যথারীতি গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে সব সময়ই দাঁড়াচ্ছেন মুশফিক আর উপহার দিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক ভুলের মহড়া। মুশফিক গ্লাভস হাতে আর কত উইকেটের পেছনে দাঁড়াবেন আর বাংলাদেশকে ভুগিয়ে যাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেবে কে? সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৬ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/31qLsOD
September 16, 2019 at 10:05AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন