ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর- ক্রিকেটে ব্যাড প্যাচ, অফ ফর্ম , বাজে বা খারাপ সময় আসেই। কিন্তু তাই বলে সবার একসাথে ফর্ম খারাপ হয়! পুরো দল এক সাথে ফ্লপ! খুব একটা দেখা যায় না এমন। শোনাও যায় না। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য, বাংলাদেশের হয়েছে সেই দশা। পুরো দল এক সাথে ফ্লপ। ব্যাটসম্যানরা স্বচ্ছন্দে খেলতে ভুলে গেছেন। কারো ব্যাটে রান নেই। বোলাররাও যেন যেন বোলিং কারিশমা ভুলে বসেছেন। প্রথম দিন জিম্বাবুূেয়র সাথে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ৫২ আর মোসাদেদ্দক হোসেন সৈকতের ৩০ রান বাদ দিলে দুই খেলায় ব্যাটসম্যান নামাধারীদের অবস্থা খুব খারাপ। কারো ব্যাট কথা বলছে না। টি-টোয়েন্টির আকর্ষণীয় চটকদার চার -ছক্কার ফুলঝুরি ছোটানো বহুদূরে, উইকেটেই থাকতে পারছেন না কেউ। কে কার আগে কত কম সময় ও কম রানে সাজঘরে ফিরবেন, তার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সৌম্য সরকার খারাপ খেলে বাদ পড়েছেন। লিটন দাসের অবস্থাও ভালো নয়। দুই ম্যাচে রান মোটে ১৯, দুই ইনিংসের মধ্যে আবার একটি শূন্য। নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকুর রহীমও ভুগছেন অজানা শঙ্কায়। নিজের সাজানো গোছানো ব্যাটিং শৈলি আর পজিটিভ এপ্রোচ ও অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে বড় ইনিংস খেলার পর্যাপ্ত সামর্থ্য থাকার পরও অহেতুক রিভার্স আর স্কুপ জাতীয় শট খেলে অকাতরে উইকেট বিসর্জন দিচ্ছেন। অধিনায়ক সাকিবের মত টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টও কেমন যেন ম্রিয়মান! ব্যাটিং আর বোলিং দুটিই যেন কেমন ফ্যাকাশে। সাকিবকে অনেককাল এমন বিবর্ণ দেখায়নি। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাব্বির রহমান রুম্মনের ফর্ম সবচেয়ে খারাপ। তারা সম্ভবত নিজেদের দায়িত্বটাই ভুলে গেছেন। আস্থা, আত্মবিশ্বাস একদম তলানিতে। এমন অনুজ্জ্বল, ফিকে আর শ্রীহীন ব্যাটিংয়ে সলতের মত জ্বলছেন দুজন- আফিফ আর মোসাদ্দেক। সেই মোসাদ্দেকও নাকি আহত। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্র্যাকটিসের সময় পায়ের মাংস পেশিতে টান ধরেছে তার। আজ বুধবার সকালে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মোসাদ্দেকের ইনজুরির কথা স্বীকার করে বলেন, হ্যাঁ, প্র্যাকটিসের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে লেগেছে সৈকতের (মোসাদ্দেক)। ইনজুরি কি খুব গুরুতর? তার পক্ষে কি আজ জিম্বাবুয়ের সাথে খেলা সম্ভব হবে? জাগো নিউজের কাছ থেকে এমন প্রশ্ন শুনে নান্নুর জবাব, যতদূর জানি, ইনজুরি খুব গুরুতর না। কারণ গুরুতর হলে ফিজিও আমাকে মেইলে বিস্তারিত জানান। কি হয়েছে, তার প্রতিকার এবং খেলা সম্ভব কি সম্ভব না-এসব বিষয়ে আমাদের অবহিত করেন। কিন্তু মোসাদ্দেকের বিষয়ে ফিজিও তা জানাননি। তাই মনে করছি ইনজুরি ততটা গুরুতর নয়। আশা করি খেলতে পারবে। এর বাইরে একাদশ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচক বলেন, সেটা দুপুরে (১২টায়) টিম মিটিংয়ে হয়তো ঠিক হবে। টিম কম্বিনেশন কি হবে, তার ওপরই নির্ভর করবে কোন ১১ জনকে খেলানো হবে। তবে প্রধান নির্বাচকের কথায় পরিষ্কার আভাস, মারকুটে ওপেনার নাইম ইসলামের খেলার সম্ভাবনা খুব কম। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৮ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/305BcPa
September 18, 2019 at 10:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন