ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর- আফগানিস্তান দুর্দমনীয় দল নয়। হযরতউল্লাহ, রহমতউল্লাহ, আসগর আফগান, নাজিবউল্লাহ, মোহাম্মদ নবী, মুজিবুর রহমান আর রশিদ খানদের নিয়ে গড়া আফগানিস্তান দলটা নিশ্চয়ই ইংল্যান্ড, ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো নয়। তাদেরও হারানো সম্ভব। নির্দিষ্ট দিনে জয়ের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে মাঠে নেমে ব্যাটিং-বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে শতভাগ উজার করে দিলে আফগানদেরও হারানো যায়, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল হ্যামিল্টন মাসাকাদজার জিম্বাবুয়ে। কাজেই সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, লিটন, আফিফ, সাইফউদ্দীনরা আফগানদের সাথে পারবেন না- তা ভাবার কোনই কারণ নেই। আজ শুক্রবার রাতে জিম্বাবুয়ানদের উজ্জীবিত ও আত্মপ্রত্যয়ী পারফরমেন্স দেখে নিশ্চয়ই টিম বাংলাদেশেরও সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা অনেক বেড়েছে। কাল শনিবার সন্ধ্যায় সেই বাড়তি সাহস ও উদ্যম নিয়েই মাঠে নামবে সাকিবের দল। এখন মানে আজ রাত অবধি দল চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্বাগতিকরা সম্ভবত পূর্ণ শক্তিতে মানে আগের ম্যাচ জেতা দল নিয়ে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবে না। কারণ আগের ম্যাচে অভিষেকে বল হাতে আলো ছড়ানো লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের না খেলার সম্ভাবনাই জোরালো।রাতে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও ওমনটাই জানালেন। নান্নু বলেন, একাদশ চূড়ান্ত হয়নি এখনো। কাল শনিবার ম্যাচের দিন দুপুরের খাবারের আগে টিম হোটেলে টিম মিটিংয়ে একাদশ চূড়ান্ত হবে। তবে আকার ইঙ্গিতে বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক বুঝিয়ে দিলেন, বিপ্লবের খেলার সম্ভাবনা খুব কম। এক পর্যায়ে বলেই উঠলেন, ১১ জন ঠিক হয়নি। তবে বিপ্লবকে খেলানো হবে না। বিপ্লবের বাঁ হাতের তালুতে বল লেগে ফেটে যাওয়া ক্ষত আগের চেয়ে ভালোর দিকে। আজ অনুশীলনও করেছেন উদীয়মান এই লেগস্পিনার। তারপরও তাকে ফাইনালের আগে বিশ্রামে রাখাকেই শ্রেয় মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এখন প্রশ্ন হলো- লেগস্পনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব না খেললে বাইরে থেকে একজনকে নিতেই হবে। তিনি কে? সম্ভাব্য বিকল্প দুটি। একটা হলো, আরেক স্পিনার মানে তাইজুল ইসলামকে একাদশে নেয়া। আর না হয় আরেকজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানো। এখন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও প্রধান নির্বাচক নান্নু সনাতন প্রথা মেনে দল সাজালে হয়তো বিপ্লবের বদলে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের খেলার সম্ভাবনা বেশি। না হয়, ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান রুম্মনকেও আবার সুযোগ দেয়া হতে পারে। আর আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে বড় খেলতে না পারলেও ধীরে সুস্থে এবং আস্থার সাথে শুরু করা বাঁহাতি নাজমুল হোসেন শান্তও হয়তো থেকে যাবেন। সেটা হলে তিনি আবারও লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিং করবেন। তবে যেহেতু এ ম্যাচে পাবার ও খোয়াবার কিছু নেই, তাই মারকুটে ওপেনার নাইম শেখকেও একটা সুযোগ দেয়া হতে পারে। প্রধান নির্বাচকের কথাবার্তায় অবশ্য তেমন আভাস মেলেনি। তারপরও ফাইনাল যেহেতু নিশ্চিত। তাই ২৪ সেপ্টেম্বরের আগে দলে খানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সুযোগ তো আছে। টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট সে সুযোগ নিতেই পারে। তবে আরেকটা চিন্তাও আছে। যেহেতু আফগানিস্তানকেই ফাইনালে খেলতে হবে। সেক্ষেত্রে আরও একবার এই আফগানদের বিপক্ষে হারতে চাইবে না টাইগাররা। সেক্ষেত্রে ফাইনালের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটিতেও প্রথাগত পন্থায় একাদশ হবে চূড়ান্ত হতে পারে। তার মানে তাইজুল না হয় সাব্বিরের যে কোন একজন ঢুকবেন দলে। বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : লিটন দাস, নাজমুল শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, তাইজুল ইসলাম/সাব্বির রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২১ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Ij17HY
September 21, 2019 at 04:55AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top