মুম্বাই, ১৫ সেপ্টেম্বর - রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া রানাঘাট স্টেশনের পাগলি রানু মন্ডলের জীবনের অন্যতম দিন ছিল গত ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন মুক্তি পেল বলিউডে তার প্লেব্যাক করা প্রথম গান তেরি মেরি কাহানি। এদিকে যার গান গেয়ে খ্যাতি পেলেন রানু, সেই কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকের এমন একজনের আচমকা খ্যাতিকে ইতিবাচকভাবে দেখেননি। ৮৯ বছর বয়সী এই মেলোডি কুইন মনে করেন, অনুকরণ করে সাফল্য পাওয়া যায়, কিন্তু টিকে থাকা মুশকিল। লতার এমন মন্তব্যে মোটেও মন খারাপ করেননি রানু। তার কাছে, লতা শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ ও শিল্পী। লতার মন্তব্যের জবাবে ভারতের হিন্দি সংবাদপত্র নবভারত টাইমসকে তিনি বলেন, লতাজির কাছে আমি অনেক ছোট। সবসময়ই আমি তার চেয়ে ছোটই থাকবো। ছোটবেলা থেকেই তার গায়কী আমার ভালো লাগে। তিনি আমাকে নিয়ে যা বলবেন সবই আমার জন্য প্রেরণা ও আশির্বাদ। রানু মণ্ডলের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে লতা মঙ্গেশকর গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, আমার নাম ও কাজের মাধ্যমে কারও সুবিধা হলে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি। তবে আমার কিংবা কিশোরদা (কিশোর কুমার), রফি সাহেব (মোহাম্মদ রফি), মুকেশ ভাই ও আশার (আশা ভোঁসলে) গান গেয়ে উচ্চাভিলাষী শিল্পীরা স্বল্প সময়ে আলোচনায় আসতে পারে। কিন্তু এই খ্যাতি টেকে না। তাই প্রত্যেক শিল্পীকে মৌলিক হতে হবে। সে কথার প্রতিক্রিয়ায় রানু বলেন, রেলস্টেশনে গান গাওয়ার সময় কখনও বুঝিনি এমন সুযোগ আসবে। তবে নিজের কণ্ঠের প্রতি বিশ্বাস ছিল আমার। লতাজির গায়কীতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। আগামীতেও কখনও আশা ছাড়বো না। আমি গাইবো। এদিকে রানুকে নিয়ে তার প্রথম গানের সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ বলেন, লতাজির মতো কিংবদন্তি কেউ হতে পারবে না। তিনি অতুলনীয়। রানুজি তার সুন্দর পথচলা সবে শুরু করেছেন। আমি মনে করি, লতাজির মন্তব্যকে মানুষ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। এটা ঠিক যে, অন্য শিল্পীকে অনুকরণ করে চললে টিকে থাকা যায় না। তবে এটাও সত্যি, কারও কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়াটা জরুরি। রানুজি সেই অনুপ্রেরণা লতাজির কাছ থেকে পেয়েছেন। এন এইচ, ১৫ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Lxi4AM
September 15, 2019 at 09:58AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন