ঢাকা, ০৯ অক্টোবর - গেল নির্বাচনে এক প্যানেলে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান। তাদের প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক রিয়াজ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পপি। দুই বছর মেয়াদ শেষে আগের সেই সম্পর্কটা আর নেই। এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদের সঙ্গে নেই রিয়াজ, পপি ও ফেরদৌস। তারা মিশা-জায়েদ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে প্যানেল থেকে বের হয়ে গেছেন। তাদের দাবি গেল মেয়াদে অনেক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটেছে সমিতিতে। তারমধ্যে তহবিলের অর্থের হিসেবে অসচ্ছতা, সদস্য বাদ দেয়া ও নতুন সদস্য নেয়ার প্রক্রিয়ার অনিয়ম উল্লেখযোগ্য। এইসব বিষয় নিয়ে মুখ খোলায় রিয়াজ-ফেরদৌসের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন মিশা-জায়েদ। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাতকারে বলেন, শিল্পীদের জন্য ফান্ড গঠন করতে একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠান থেকেও ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন রিয়াজ, ফেরদৌস ও পপি। শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের প্রতি কোনো দায় নেই তাদের। এজন্যই ফান্ড গঠনের চ্যারিটি অনুষ্ঠান থেকেও পারিশ্রমিক নেন তারা। তারা ছাড়া অন্য কেউ টাকা নেননি। একই কথা জায়েদ খানেরও। তিনিও এই তিন তারকার দায়বোধের প্রতি আঙুল তুলে গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, উনারা সমিতির তহবিল নিয়ে বড় বড় কথা বলে। দুই বছরে তারা একটি পয়সাও তহবিলে দেননি। কোথাও থেকে আনেনওনি। তাদের কী অবদান আছে সমিতিতে? কেউ মারা গেলেও তারা আসেননি, কোনো মিলাদেও অংশ নেননি। উল্টো শিল্পী সমিতির ফান্ড গঠনের অনুষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার করে পারিশ্রমিক নিয়েছেন রিয়াজ ও ফেরদৌস। নায়িকা পপিও তাদের সঙ্গে টাকা নিয়েছেন। এদিকে চ্যারিটি অনুষ্ঠানে টাকা নেয়া প্রসঙ্গে মিশা-জায়েদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, আমি খুবই অবাক হচ্ছি এরকম মিথ্যাচার দেখে। ভদ্রতা-ধৈর্যের উপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর সময় চলে এসেছে। আমি বা ফেরদৌস বা পপি- কেউ কী ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিকের শিল্পী? এমন স্বস্তা হলে তো দিনে চারটা করে শো করতে পারতাম। সবাইকে নিজেদের মাপের মনে করে ওরা? আছে কোনো রশিদ সেই টাকা নেয়ার? ঘটনা হলো নারয়ণগঞ্জের সেই শোটি ছিলো ৮ লাখ টাকা বাজেটের। তারমধ্যে ৪ লাখ টাকা শিল্পী সমিতির ফান্ডে জমা হয়েছে। আর বাকী চার লাখ টাকা যারা পারফর্ম করেছে তাদের দেয়া হয়েছে। সেটা কিন্তু পারিশ্রমিক হিসেবে নয়। ড্রেস ও অন্যান্য বাবদ। আর তা নির্ধারণ করা হয়েছে সবাই মিলেই। তো আমি, ফেরদৌস ও পপি যদি ৫০ হাজার করে দেড় লাখ টাকা নিয়ে থাকি বাকি আড়াই লাখ টাকা কোথায়? সেগুলো কে নিয়েছে? রিয়াজ বলেন, সেদিন অনুষ্ঠানে আমি, ফেরদৌস, পপি, অপু বিশ্বাস ও জায়েদ খান পারফর্ম করেন। মিশা সওদাগর অনুষ্ঠানেই যাননি। তাহলে মিশা কেমন করে বলেন যে, আমি কোনো টাকা নিইনি। সে তো ওখানে যায়নি। টাকা নেয়ার প্রশ্ন আসবে কোথা থেকে? মিথ্যাচারের তো একটা লিমিটি থাকা উচিত। দুজনেই এত চমৎকার করে মিথ্যে কথা বলতে পারে শুনলে মনে হবে এরচেয়ে সত্যি কিছু নেই। যেসব সিনিয়ররা এই দুজনকে সমর্থন দিচ্ছেন তারা কবে সচেতন হবেন? শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের ইজ্জত সম্পূর্ণ ধ্বংস হবার পর? শিল্পী সমিতিতে সহসভাপতি হিসেবে নিজের অবদান নিয়ে রিয়াজ বলেন, আমরা সব তারকাখচিত একটি প্যানেল করেছিলাম। সেজন্যই ভোটের জোয়ার এসেছিলো। আমাদের বিপক্ষে প্যানেলটিও কিন্তু বেশ শক্তিশালী ছিলো। কিন্তু আমরা জনপ্রিয় শিল্পীরা এখানে ছিলাম তার প্রভাব ভোটে পড়েছে। ওই দুজনের মধুর মধুর কথায় নয়। ক্ষমতায় বসার পর প্রতিটি মিটিংয়ে গিয়েছি। আমি মিলাদ মাহফিলে বা শোক দিবসে গিয়েছি কী না সেই প্রমাণ তো গণমাধ্যমে আছে। জায়েদের নিজের হাতে আপলোড করা ফেসবুকের ছবিও আছে। গেল দুই বছরে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সবগুলোতে আমার অংশগ্রহণ ছিলো। অন্যদেরও অংশগ্রহণ ছিলো। ইন্ডাস্ট্রি উত্তাল ছিলো নানা ইস্যুতে। তৎকালীন তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলো চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো, সেগুলো সামলেছি। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে হামলা-মামলার হুমকিও পেয়েছি। সব ভুলে গেছে জায়েদ? ওরা দুজন তো ঠিকই সবার কাছে ভালো থাকতে চেষ্টা করে গেছে। মিশা সওদাগরও রাতে শাকিবকে গালি দিয়ে দিনের বেলায় তার সঙ্গে শুটিং করতে ছুটে গেছে। শাকিবকে অনুরোধ করে সিনেমায় কাজও নিয়েছে। সেইসব কথা তো সবাই জানে। সমিতিতে বসে একরকম, আলাদা হয়ে অন্যরকম। তাছাড়া নানা সমস্যার সংকটে মন্ত্রণালয় দৌড়েছি, বিভিন্ন জনের কাছে গিয়েছি, নানা রকম মিটিং করেছি। শিল্পী সমিতির প্রাতিষ্ঠানিক যা কিছু সাফল্য তা তাদের একা? অন্যদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে নিজের যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতাটা মেপে নেয়া উচিত। তাদের চেহারা দেখে সমিতিতে কেউ কিছু দেয়নি। কমিটিতে থাকা প্রতিটি সদস্যদের ইমেজ, জনপ্রিয়তা বিবেচনা করেই সবাই শিল্পী সমিতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সবাই তাদের মতো শিল্পী সমিতিতে দিনরাত অফিস করে না। কাজ আছে, পরিবার আছে। সেগুলো সামলে সমিতিকে সময় দিতে হয় আমাদের। হুট করে এখানে আসুন, ওখানে যাবো বললেই হয়ে যায় না। সময় বের করতে হয়। চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, তারা নির্বাচন করছে করুক। প্রশ্ন তুললে অনেক তোলা যাবে। কিন্তু যে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি ওরা করছে সেটার ফল তাদের ভোগ করতে হবে। তারা বলে নানা উন্নয়নে ফান্ডের টাকা খরচ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে দুই বছরে ৫৮ লাখেরও বেশি টাকা এসেছে। কোন খাতে কী খরচ হয়েছে আছে তার কোনো হিসেব? কোনো কাগজ? মুখে বললে তো হবে না। এখানে অনেক টাকার ব্যাপার। এটা কমিটির সদস্যরা চাইলে অন্যায়? তুমি যদি সৎ থাকো তাহলে কীসের এত ভয়? এন এইচ, ০৯ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/310xL7Y
October 09, 2019 at 10:16AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তুর্কি সিরিজ আরতুগ্রুলে মজেছেন ভারতের মুসলিমরা
07 Oct 20200টিমুসলিম বিশ্বে দারুণভাবে সাড়া ফেলে তুরস্কের টিভি সিরিজ দিরিলিস: আরতুগ্রুল। এখন কাশ্মীরসহ ভারতের মুসলি...আরও পড়ুন »
আবারো ভাইরাল শাহরুখকন্যার ছবি
07 Oct 20200টিমুম্বাই, ৭ অক্টোবর- উষ্ণতায় ভরা চোখ ঝলসানো ছবি শেয়ার করে ফের ভাইরাল হলেন বলিউড বাদশাহর কন্যা সুহানা ...আরও পড়ুন »
এবার সুশান্ত-ভক্তের আত্মহত্যার হুমকি
07 Oct 20200টিমুম্বাই, ০৭ অক্টোবর- বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর প্রায় চারমাস পার হলেও এখন পর্যন্ত তা...আরও পড়ুন »
প্রায় একমাস পর জামিন পেলেন রিয়া চক্রবর্তী
07 Oct 20200টিমুম্বাই, ০৭ অক্টোবর- ৯ দিন জেলে কাটিয়ে অবশেষে জামিন পেলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্...আরও পড়ুন »
কাজলের বাগদান সম্পন্ন, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ৩০ অক্টোবর
07 Oct 20200টিমুম্বাই, ৭ অক্টোবর- তামিল, তেলেগু ও হিন্দি ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়ালের বিয়ের গুঞ্জন শোনা ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.