ঢাকা, ২২ অক্টোবর- ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হতে যাওয়া ঐতিহাসিক বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট দেখতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলকাতা টেস্ট আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)-এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগেই। শেখ হাসিনা ওই টেস্ট ম্যাচ দেখতে যাওয়ার বিষয়টি সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিএবিকে ই-মেইল করে জানানো হয়েছে। সিএবির পক্ষ থেকে এদিন রাতেই এ প্রতিবেদককে এই খবর নিশ্চিত করা হয়। প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর দিল্লিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভারত সফর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে প্রথম ভারত সফরে তারা শুধু হায়দ্রাবাদে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। কেন সেই ম্যাচ বাঙালির আর এক শহর কলকাতার আইকনিক ইডেন গার্ডেন্সে করা হলো না, তখন তা নিয়ে উঠেছিল নানা প্রশ্নও। সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়ে এবারে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায়। আর সেই টেস্টকে আলাদা মাত্রা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই ম্যাচে উপস্থিত থাকছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এ সিদ্ধান্তের কথা সিএবি-কে জানালো এমন এক দিনে, যখন সাকিব আল হাসানসহ বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটাররা অনেকেই বাড়তি বেতন ও অন্যান্য দাবিতে ধর্মঘটে নামার হুমকি দিয়েছেন। তাদের এই ধর্মঘট ডাকার ফলে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফর ঘিরেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার কার্যালয় যে এ সফরকে ঘিরে কোনও আশঙ্কার ছায়া দেখছে না, তা প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট। ঘটনাচক্রে এ মাসের গোড়ার দিকেই চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলকাতা টেস্টে যাওয়ার সুবাদে মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই আবার ভারত সফরে যাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইডেন টেস্ট দেখতে গেলেও সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার দেখা হবে কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে আভাস মিলেছে, শেখ হাসিনার সম্মতি মেলার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও ইডেন টেস্ট দেখতে আসার জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ জানাবেন। প্রসঙ্গত, গত আশির দশকের মাঝামাঝি জয়পুরে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচ দেখতে আচমকা হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক। জয়পুরের মাঠে জিয়াউল হক ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর পাশাপাশি বসে ম্যাচ উপভোগ করার দৃশ্য উপমহাদেশের ক্রিকেট-কূটনীতিতে একটি অবিস্মরণীয় দৃশ্য হয়ে রয়েছে। ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে বতর্মান সম্পর্কের সঙ্গে দিল্লি-ইসলামাবাদের সম্পর্কের যদিও কোনও তুলনাই টানা যায় না, তারপরও ইডেন গার্ডেন্সে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি পাশাপাশি বসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখলে নিশ্চিতভাবে সেই দৃশ্যও পাকাপাকিভাবে উপমহাদেশের ক্রীড়া ও রাজনীতির ইতিহাসে ঢুকে পড়বে! সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন আর/০৮:১৪/২২ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2p1uPeg
October 22, 2019 at 05:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন