ইসলামাবাদ, ০৮ অক্টোবর - খেলোয়াড়ি জীবনে গতির জন্য বিখ্যাত ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারিটাও তারই করা। শোয়েব আখতার, ব্রেট লি, শন টেইটদের মধ্যে প্রায়ই চলতো গতির প্রতিযোগিতা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সে অর্থে ৯৫ মাইল বেগে নিয়মিত বল করার মতো বোলার খুব বেশি নেই। এছাড়া মারকাটারি টি-টোয়েন্টির যুগে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখার দিকেই বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছেন বোলাররা। যে কারণে গতির ঝড় না তুলে মাথা খাটিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের দিকেই বেশি নজর থাকে সবার। যে কারণে কমে আসছে আগ্রাসী মনোভাবের বোলারদের সংখ্যা। তবে শোয়েব আখতার মনে করছেন তার দেশেরই তিনজন তরুণ পেসার পারবেন গতিতে সবাইকে হার মানাতে, ক্রিকেট মাঠে গতির ঝড় তুলে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করতে। শোয়েবের বাজি ধরা সে তিনজন বোলার হলেন নাসিম শাহ, মুসা খান এবং হারিস রউফ। দুইজনের বয়স ১৯র নিচে, অন্যজনের ২৪। এদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ জন হলেন নাসিম। মাত্র ১৬ বছর বয়সী এ পেসার এরই মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দেখিয়েছেন নিজের হাতের জোর। তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে হারিস রউফ। খেলছেন পাকিস্তানের ঘরোয়া কায়েদে আজম ট্রফিতে। এছাড়া সবশেষ পিএসএলে লাহোর কালান্দারসের হয়ে গতির ঝড় তুলেছিলেন তিনি। বর্তমানে নর্দার্ন পাকিস্তানের হয়ে কায়েদে আজম ট্রফি খেলছেন মোহাম্মদ মুসা। পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ৭ ম্যাচ খেলে শিকার করেছিলেন ৮ উইকেট। লাহোরের হয়ে খেলা হারিসের ১০ ম্যাচে ছিলো ১১টি উইকেট। তবে দুজনেই প্রায় ১৫০ কিমি. প্রতি ঘণ্টায় বোলিং করে সবাইকে তাক লাগিয়েছিলেন। এ তিন বোলারের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণীতে শোয়েব বলেন, নাসিম শাহ, মুসা খান, হারিস রউফদের মতো তরুণ মুখগুলো বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় পেসার হতে পারবে। আমি আশা করি তারা আমার কাছে আসবে পরামর্শ নিতে। আমি তাদের নিজেদের মতো করে গতিতারকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে করে তারা বিশ্বমঞ্চে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করতে পারে। তরুণ পেসারদের ব্যাপারে আশা জাগানিয়া কথা বললেও, পাকিস্তানের বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ব্যাপারে ইতিবাচক বলতে পারেননি শোয়েব। তার আক্ষেপ ভারতের পেসাররা পরামর্শের জন্য ফোন করে কিন্তু পাকিস্তানের পেসাররা তার কাছ থেকে কোনো পরামর্শ নেয় না। এ বিষয়ে আলোকপাত করে শোয়েব আরও বলেন, আমার প্রায়ই মন খারাপ হয় যে ভারতীয় বোলাররা আমাকে নিয়মিত ফোন করে বোলিংয়ের ব্যাপারে নানান পরামর্শ নিতে। কিন্তু আমার দেশের পেসাররা কখনোই এটা করে না। ব্যক্তিগতভাবে তো নয়ই, দলের পক্ষ থেকেও কখনো যোগাযোগ করা হয় না। কেউ যেন শিখতে চায় না। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৮ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OtdZzb
October 08, 2019 at 11:38AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.