ঢাকা, ২৭ অক্টোবর- পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরির মধ্যে অন্যতম ভারতের রাজধানী দিল্লি। এই শহরে বায়ুদূষণ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যাতে করে মানুষের স্বাভাবিক জীবন পর্যন্ত ভেস্তে যেতে শুরু করে। এবারও মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণ দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। যার ফলে আগামী ৩ নভেম্বর স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা দিয়েছে এ খবর। দিল্লিতে দূষণ আতঙ্কে চর্চায় বাংলাদেশ ম্যাচ- শিরোনামে ওই রিপোর্টের শুরুতেই লেখা হয়েছে, আগামী ৩ নভেম্বর দিল্লিতে ভারত বনাম বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। কিন্তু সেই দ্বৈরথের আগেই কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজধানীর বায়ুদূষণ। দুই বছর আগে দূষণের কারণে কি সমস্যা হয়েছিল, সে ঘটনার কথা জানিয়ে বলা হচ্ছে, দুই বছর আগের ঘটনা। ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্টের মধ্যে প্রবল বায়ুদূষণের কারণে ক্রিকেটারেরা মুখে মাস্ক পরতে বাধ্য হন। অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় বোর্ডকে। সেই পরিস্থিতি যে এবারও হবে না, তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না। দিল্লির বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার নিতে পারে সামনে। এ নিয়েই শঙ্কা আনন্দ বাজারের সেই রিপোর্টে। সেখানে লেখা হয়েছে, সামনেই দীপাবলি। রাজধানীতে শব্দদূষণের সঙ্গে বায়ুদূষণও যে ভয়ঙ্কর আকার নিতে চলেছে, তা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। ইতোমধ্যে একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) দিল্লির আবহাওয়াকে খুব খারাপ বলে চিহ্নিত করেছে। একিউআই-এর মান অনুযায়ী, রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা ৩০১-৪০০। যা শ্বাসকষ্টের সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতারও কারণ হতে পারে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি দিল্লিতে রাখা হলো? আনন্দবাজার লিখেছেন, ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই অবস্থায় ভারত বনাম বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কেন দিল্লিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? তবে ভারতীয় বোর্ড নাকি বলছে বায়ুদূষণ কোনো প্রভাব ফেলবে না বাংলাদেশ এবং ভারতের ম্যাচে। যদিও এই বিষয় নিয়ে ভারতীয় বোর্ড এবং ডিডিসিএ (দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট সংস্থা) জানিয়েছে, রাজধানীর বায়ুদূষণ ক্রিকেটারদের উপরে কোনও প্রভাব ফেলবে না। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে শনিবার বোর্ডের এক আধিকারিক বলেছেন, দীপাবলির পরে দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা যে বেড়ে যায়, সেটা আমরাও জানি। তা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে যেহেতু দীপাবলির এক সপ্তাহ পরে ম্যাচ হবে, তাই ধরে নেওয়া যায় ক্রিকেটারদের তেমন কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অস্বস্তিতে পড়তে হবে না- লিখেছে আনন্দবাজার। কিন্তু দুই বছর আগের সেই তিক্ত স্মৃতির পর অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, দিল্লির বাইরে অন্য কোনও মাঠে কেন ম্যাচ দেওয়া হয় না? যদিও ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ দলের সফরসূচি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে তারা দিল্লিতে প্রথম পা রাখবে এবং কলকাতা থেকে দেশে ফিরে যাবে। সেই মতো সফরের প্রথম ম্যাচ উত্তরে রেখে ক্রমশ তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পশ্চিমে (নাগপুর, রাজকোট, ইনদোর) এবং দেশের পূর্ব প্রান্তে (কলকাতা)। মনে হয় না, বাংলাদেশ দলকে সমস্যায় পড়তে হবে। দিল্লির আবহাওয়া দফতরের সচিব সি কে মিশ্র শনিবার সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে কৃষকরা এই সময় যেন জমির আগাছা না পোড়ান। আর/০৮:১৪/২৭ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2qNWqQK
October 27, 2019 at 07:41AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন