ত্রিনিদাদ, ০৭ অক্টোবর - ক্রিকেট মাঠে এমন দিন খুব কমই আসে, যেখানে ব্যাটিং-বোলিং উভয় দিকেই ব্যর্থতার পরিচয় দেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাধারণত ব্যাটিং বা বোলিং- অন্তত যেকোনো একটিতে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলে থাকেন সাকিব। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়েও এর প্রমাণ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পারলেন না গুরুত্বপূর্ণ প্লেঅফ ম্যাচে। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও পারেননি নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে। ফলে হয়েছে যা হওয়ার তাই। সাকিবের নিষ্প্রভতার দিনে সিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে হেরে গিয়েছে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে দশ ম্যাচের সবকয়টিতে জেতা গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স ধরে রেখেছে নিজেদের জয়ের ধারাবাহিকতা। বার্বাডোজকে ৩০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে গায়ানা। তবে বিদায় নেয়নি বার্বাডোজ। সাকিবদের সামনে সুযোগ রয়েছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট পাওয়ার। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। বার্বাডোজের বিপক্ষে ম্যাচটি পুরোপুরি নিজের করে নিয়েছেন গায়ানার ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংস। অপরাজিত সেঞ্চুরিতে তিনি খেলেছেন ৭২ বলে ১৩২ রানের ইনিংস। গায়ানা পায় ২১৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। সাকিবের ৪ ওভারে খরচ হয় ৪৬টি রান। বিপরীতে বার্বাডোজের ইনিংস থাকে ১৮৮ রানে। সাকিব আউট হন মাত্র ৫ রান করে। বল হাতের ব্যর্থতা ব্যাটিংয়ে নেমে ভুলিয়ে দিতে পারতেন সাকিব। তা হয়নি, উল্টো আরও ভারী হয়েছে ব্যর্থতার পাল্লা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আসেন উইকেটে, টিকতে পারেন কেবল অষ্টম ওভার পর্যন্ত। শোয়েব মালিককে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন লংঅফে দাঁড়ানো শিমরন হেটমায়ারের হাতে। মাঝের সময়টায় ৯ বল খেলে মাত্র ৫ রান করতে সক্ষম হন তিনি। সাকিব না পারলেও লড়াই করেছেন জোনাথন কার্টার, জেসন হোল্ডাররা। কার্টার ২৬ বলে ৪৯, হোল্ডার ১৫ বলে ২৯ ও অ্যালেক্স হেলস ১৯ বলে ৩৬ রান করলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানে গিয়ে থামে বার্বাডোজের ইনিংস, মেলে ত্রিশ রানের পরাজয়। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়ের শুরুটা অত খারাপ হয়নি সাকিবের। প্রথম তিন ওভার থেকে মাত্র ২ বাউন্ডারির বিনিময়ে খরচ করেছিলেন ১৭ রান। কিন্তু নিজের শেষ ওভার করতে এসেই বদলে যায় সব হিসেবে। ব্রেন্ডন কিংস ও শোয়েব মালিক মিলে ৪টি ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৯ রান নিয়ে নেন সেই ওভার থেকে। তিন ওভারে ১৭ রান থেকে ৪ ওভারে ৪৬ রান হয়ে যায় সাকিবের বোলিং ফিগার। অবশ্য বল হাতে সবাই ছিলেন নিষ্প্রভ। বলা ভালো ব্রেন্ডন কিংয়ের ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায়ই ছিলেন বার্বাডোজের বোলাররা। ১০ চারের সঙ্গে ১১টি বিশাল ছক্কার মারে ৭২ বলে ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কিং। শুধু বাউন্ডারি থেকেই আসে ১০৬ রান। সঙ্গে মালিক ৩২ ও চন্দরপল হেমরাজ ২৭ রান করলে গায়ানার সংগ্রহ পৌঁছায় ২১৮ রানে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৭ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/30RPUof
October 07, 2019 at 08:36AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন